যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করছে যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ‘পুতিনের বিলাসবহুল জীবনযাপনে ছায়া হয়ে থাকা নেটওয়ার্ককে উন্মোচিত ও লক্ষ্যবস্তু করেছে’ যুক্তরাজ্য। ইউক্রেন জয়ী না হওয়া পর্যন্ত পুতিনের আগ্রাসনে সহায়তা ও প্ররোচনা দেওয়া সবার ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেন থেকে সব রুশ সেনা চলে গেলেই এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুতিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর লুদমিলা ওচেরেতনায়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। তিনি পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এ জন্য আর্থিক ও বস্তুগত সুবিধা পেয়ে থাকেন তিনি।
পুতিনের কথিত প্রেমিকা এলিনা কাভায়েভা সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তিনি রাশিয়ার সাবেক একজন আইনপ্রণেতা (এমপি)। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান। ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপ হলো রাশিয়ার সর্ববৃহৎ বেসরকারি মালিকানাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান।
এ মাসের শুরুতে জানা যায়, পুতিনের প্রেমিকা এলিনা কাভায়েভাসহ রুশ নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।