জম্মু-কাশ্মীরের জম্মু শহরে এই মৌসুমের উষ্ণতম দিন রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল। শহরটির তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। তৈরি হয়েছে দাবদাহ। অথচ চলতি মৌসুমে জম্মু শহরের গড় তাপমাত্রা ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জম্মু ও কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় শহর শ্রীনগরের তাপমাত্রাও অনেকটা বেড়েছে। গতকাল ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় শহরটিতে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এমন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন, উপত্যকার বিভিন্ন অংশে এরই মধ্যে একটি দাবদাহ শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান
পাকিস্তানজুড়ে গরমজনিত বিভিন্ন রোগে মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। বিশেষ করে সিন্ধু ও পাঞ্জাব প্রদেশে মারাত্মক দাবদাহ শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবার সিন্ধুর জ্যাকোবাবাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রদেশটির অন্যান্য স্থানের পরিস্থিতিও একই। প্রদেশটির বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘায়িত খরা ও নিরাপদ পানীয়র সংকটে নিরুপায় হয়ে গরম থেকে বাঁচতে দূষিত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সিন্ধু প্রদেশের তিনটি শহরে গতকালও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি ছিল। এদিন জ্যাকোবাবাদে তাপমাত্রা ছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া প্রদেশের নবাবশাহ শহরে ৫০ দশমিক ৫ ও মহেঞ্জোদারো শহরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে প্রাদেশিক রাজধানী করাচিতে গতকাল ছিল বছরের দ্বিতীয় উষ্ণতম দিন। এদিন করাচির তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।
পাঞ্জাবের অনেক শহরে দিনের বেলার তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এমন দাবদাহের মধ্যে লাহোরের অনেক মানুষকে ঘরের বাইরে থাকতে হয়। পানিস্বল্পতার কারণে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দাবদাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া অনেককে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হচ্ছে। ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ সতর্ক করেছে, দেশের বিভিন্ন অংশে উচ্চ তাপমাত্রায় হৃদ্রোগ ও পানিবাহিত রোগীর ঝুঁকি বাড়তে শুরু করেছে।