কামরান- হৃৎপিণ্ডের প্রতিনিয়ত দপ দপ শব্দের মতোই শরিয়তপুরের আংগারিয়া ইউনিয়নের হাজী আব্দুর রব হাওলাদার রাজনীতিতে উচ্চারিত এক নাম। শরিয়ত পুরের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব কম সংখ্যক যেসব নেতা মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছিলেন হাজী আব্দুর রব হাওলাদার ছিলেন সেই বিরলপ্রতিম একজন। এই নামটি ঘিরে আংগারিয়া ইউনিয়নের তাই অন্যরকম এক মাদকতা। যে কারণে দল, মত নির্বিশেষে শরিয়তপুরের শান্তি-সম্প্রতির প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেছিলেন হাজী আব্দুর রব হাওলাদার। শরিয়তপুরের গ্রামগন্জের সাথেও এক অলৌকিক প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে নিয়েছিলেন নিজের অজান্তেই।
রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ বিচরণ। অর্ধ শতাব্দীর বেশী সময় ধরে তিলে তিলে গড়েছিলেন বর্ণ্যাঢ্য ক্যারিয়ার। আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা হয়েছেন আংগারিয়া ইউনিয়নের প্রিয় নাম।
শরীয়তপুরে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন খুব নিকটে। দলীয় মনোনয়ন পেতে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ। আংগারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাজী আঃ রব হাওলাদার রয়েছেন ব্যাপক আলোচনায়।নেতার স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা জরুরি। নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও নমনীয়তাও নেতাকে পরিণত হতে সহায়তা করে। এমনই একজন নেতা হাজী আব্দুর রব হাওলাদার।
হাজী আব্দুর রব হাওলাদার বালানিউজমেইলকে বলেন মুখোশ পরার দরকার নেই। বরং, নেতা হিসাবে দলের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা আদায় করাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন। যদি সহযোগীরা একশো শতাংশ নির্ভরযোগ্যতা না দেখান তাহলে কাজ হবে না। তবে নেতাকে সর্বদাই নিজের কাজটি ভালোবেসে করা উচিত।
তিনি বলেন কর্মীরা হলেন মুল্যবোধের প্রতিচ্ছবি। দরকারি যা কিছু করা উচিত তা না করে নেতা যদি দায়সারা হন, তাহলে তাঁর কাজটি যথাযথ হবে না। যদি আপনার কাজের প্রতি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ থাকাটাও নেতার কাজ – বাকিটা হয়ে যাবে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন রাজনৈতিক ভাবেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গণে। এ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এ বছরই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী স্থানীয় নেতা ইতোমধ্যেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে এবার আলোচনায় রয়েছেন আংগারিয়া ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আঃ রব হাওলাদার।
দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবৎ আংগারিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়ীত্ব পালন করে আসা হাজী আঃ রব হাওলাদার স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার রয়েছে সরব ভূমিকা। সৎ ও পরিশ্রমী ব্যবসায়ী হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) এর শরীয়তপুর জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, তিনি দীর্ঘদিন আংগারিয়া বন্দর কমিটির সহ-সভাপতির দায়ীত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেছেন এবং বর্তমানে আংগারিয়া পূর্ব বাজার জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়ীত্ব পালন করছেন।
আপনি কেন মনোনয়ন প্রত্যাশী এমন প্রশ্নের জবাবে হাজী আঃ রব হাওলাদার বলেন, আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। কখনো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করিনি। দীর্ঘদিনের এই শ্রমের ফল স্বরুপ আংগারিয়া ইউনিয়নের জনগণ আমাকে তাদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের ত্যাগী নেতাকর্মীবৃন্দের আশার প্রতিফলন ঘটবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
এদিকে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে হাজী আঃ রব হাওলাদারের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তবে আমরা তাকে হাসি মুখে মন থেকেই মেনে নিবো। তাছাড়া, যোগ্যতার বিচারে তিনি সকলের চাইতে এগিয়ে। দলীয় সিদ্ধান্ত তার পক্ষে আসলেই ইউনিয়নবাসী সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।
বর্ষীয়ান শব্দটি সবার সাথে যায়না। হীরক দ্যুতিমময় কর্মযজ্ঞে কোন কোন নাম বর্ষীয়ান হয়ে উঠে। আংগারিয়া ইউনিয়নের রাজনীতির আকাশে নক্ষত্র হয়েই আলো ছড়িয়েছেন হাজী আব্দুর রব হাওলাদার। তার সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্কও অনেক দিনের পুরনো।