সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির চুক্তির সমালোচনা করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সবকিছু জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তারেক রহমানের ১২তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রেখে নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি বা
পিএসসি চুক্তির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন
২০০১ সালে তিনি গ্যাস রপ্তানির চুক্তিতে সই করেননি বলে ক্ষমতায় আসতে
পারেননি। আজকে কিন্তু সেই গ্যাস রপ্তানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।’ তিনি
আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি আন্তর্জাতিক বাজারে পরিণত করা হয়েছে। ক্ষমতায়
টিকে থাকার জন্য সবকিছু জলাঞ্জলি দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ন্ত্রণে
রাখার জন্য, রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতীতের মতো এখনো ষড়যন্ত্র
চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছেন
জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কোনো একটা দল দেখান তো দেখি যেখানে ২৬ লাখ
লোক আসামি, ১ লাখের ওপরে মামলা, ৫ লাখের ওপরে নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে।
নেতা-কর্মীদের পঙ্গু করে ফেলা হচ্ছে।’ তবে বিএনপির অনুসারীদের হতাশ ও
বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এক আছি, এক থাকব।’
বর্তমান ‘সংকট’ শুধু বিএনপির নয়, জাতির সংকট বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার ব্যর্থ। সরকারের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো তাদের পাশে নেই।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে ফের কারাগারে
পাঠানোর সমালোচনা করে এর নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। তিনি সব ধরনের
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার এবং পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন।
তারেক
রহমান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান অল্প সময়ের মধ্যে নেতৃত্বের
সমস্ত গুণাবলি অর্জন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে দল বিকশিত হচ্ছে এবং বিএনপি
এগিয়ে যাবে।
ছাত্রদলের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পদের জন্য রাজনীতি কোরো না। দেশের জন্য, মানুষের জন্য রাজনীতি করো। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজনীতি করো।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ছাত্রদল ও শ্রমিক সংগঠন অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। এই দুর্বল অবস্থাতেই আন্দোলন করতে হবে।
ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ।