কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত/
শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।”
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এজন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাকি আছে আরও চার দিন। তফসিল অনুযায়ী ১৭ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর শুক্রবার রাতে আরফানুল হক রিফাত বলেন, “নেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, আমাকে নৌকা দিয়েছেন- সেজন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
“আগামী ১৫ জুনের নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করে আমি তার আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে পারব আশা করছি। আমি এবার বিজয়ী হয়ে নেত্রীকে নৌকা উপহার দিতে চাই।”
রিফাত বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে নগর ভবনকে দলীয় কার্যালয় বানাবো না। নগর ভবন সর্বদা নগরীর মানুষের জন্য খোলা থাকবে। আশা করছি, কুমিল্লা নগরীর মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে তাদের কল্যাণে কাজ করতে নির্বাচিত করবেন।”
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আরফানুল হক রিফাত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর নগরী জুড়ে দলের নেতাকর্মীদের আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা গেছে।
তারা আশা করছেন, এবার তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় নির্বাচনে বিজয় পাবেন। গত দুই নির্বাচনে এই সিটিতে বিএনপির প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হন।
আরফানুল হক রিফাত ১৯৮০ সালে কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের প্যানেলে তিনি বহিঃক্রীড়া ও ব্যায়ামাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন।
একই বছর জামায়াত শিবিরের হামলার শিকার হন তিনি। সে সময় তার দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালে তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হন। পরে কুমিল্লা জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান আরফানুল।
এছাড়া গত ১২ বছর যাবৎ তিনি কুমিল্লা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা ক্লাবের দুই বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটিতে সর্বশেষ ভোট হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৭ মে প্রথম সভা হয়। তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এ বছরের ১৬ মে।