যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তলেতলে আপস হয়ে গেছে’। এ সময় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসা নীতি? তলেতলে আপস হয়ে গেছে। আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে। আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরা আছি। শত্রুতা কারো সাথে নাই।’
দেশে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- এ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান।
কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ ভোট ছাড়া কিছু ভাবছে না।
তারেক রহমানের মতো পলাতক কোনো নেতার ডাকে আন্দোলন সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির গায়ে দুর্নীতির গন্ধ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অতীতের মতো দুর্নীতি, লুটপাট করতেই ক্ষমতায় আসতে চায়। যা দেশের মানুষ আর হতে দেবে না।
নির্বাচন বন্ধে বিএনপি ও তাদের শরীকদের চক্রান্ত আর নাশকতা রুখতে ঢাকার প্রবেশদ্বার আমিনবাজারে এই শান্তি সমাবেশ আয়োজন করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন ট্রাক স্ট্যান্ড মাঠে।
সমাবেশে নেতারা বলেন, সরকার পতনে বিএনপির দাবি অসাংবিধানিক। জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেয় নি।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনবিরোধী রাজনীতিকে আমরা শান্তি, উন্নয়ন ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে বানচাল করে দিবো।
আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী রাজপথে থেকে অশুভ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সব থেকে দামি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চলছে। তারপরও বলেন যে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হয় না।’
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে সরিয়ে বিএনপি তারেক রহমানকে পদে বসাতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আরেক কেন্দ্রী নেতা কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আজ খালেদা জিয়া অসুস্থ। কিন্তু তাকে নিয়েই টানাহেঁচড়া চলছে। তারা তারেক রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চাচ্ছেন।