দুদিন উত্থান আর তিনদিন সূচেকর পতনের মধ্য দিয়ে ঈদ পরবর্তী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে (৮ মে থেকে ১২ মে) লেনদেন সামান্য বাড়লেও কমেছে সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
সূচক উত্থান-পতনের সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১২৩টির, কমেছে ২২৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে (২৪এপ্রিল থেকে ২৮এপ্রিল) লেনদেন হওয়া ৩৯৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ১৫৫টির, কমেছিল ২৯৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির শেয়ারের।
অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমায় গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯০ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে। সবকটি সূচক কমায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি ৯ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৭ টাকা।
ডিএসইর তথ্য মতে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ৮ মে লেনদেন শুরুর দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ কোটি। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ১২ মে লেনদেন শেষে বাজারে মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩১ হাজার ১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ মূলধন কমেছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
মূলধন কমলেও বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে কিছুটা। গত সপ্তাহে বাজারটিতে বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩৯৭ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ৩০ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৭ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার ৯২৩ টাকা টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৩৪০ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার ১০৭ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ৩৩ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১৮৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে।