তিন বছর আগে হঠাৎ দেশের সিনেমায় দেখা মেলে বুবলীর। শুরুটা বেশ রাজকীয়ই বলা চলে। কারণ জীবনের প্রথম ছবিতে তিনি নায়ক হিসেবে পেয়ে যান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানকে। শুধু কি তা-ই, গত তিন বছরে যে কয়টি ছবি মুক্তি পেয়েছে, সব কটিতে শাকিবের নায়িকা শুধুই বুবলী। নায়ক শাকিবের প্রযোজিত নতুন ছবির নায়িকা হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে আছেন বুবলীই। সামনে শাকিবের যে কটি ছবি আসছে, দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ ছবির নায়িকা হিসেবে নাম শোনা যায় হালের আলোচিত এই নায়িকার। নিন্দুকেরা আবার এসব নিয়ে জল ঘোলা করতে চাইলেও শাকিবের সরাসরি উত্তর, পর্দায় আমাদের বোঝাপড়া দারুণ। দর্শকও আমাদের জুটিকে দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। পর্দার বাইরে আমরা খুব ভালো বন্ধু।
আর বুবলী তো কোনো রাখঢাক না রেখেই বললেন, ‘শাকিব খান আমার অভিভাবক। অভিনয় জীবন শুরুর সময় থেকেই পাশে আছেন। ভালো-মন্দ অনেকে বিষয়ে পরামর্শ দেন, যা একজন অভিভাবকই করে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, শাকিব খান আমার অভিনয়ের গুরু। তাঁর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অভিনয়ের অনেকে কিছুই শিখছি। আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলব এ কারণে যে, অভিনয় জীবনের শুরুতে সহশিল্পী হিসেবে শাকিব খানের মতো বড় মাপের একজন শিল্পীকে অভিভাবক হিসেবে পাশে পেয়েছি।’
সংবাদপাঠিকা থেকে চলচ্চিত্রে নাম লেখানো বুবলির প্রথম ছবি ‘বসগিরি’। শামীম আহমেদ রনী পরিচালিত এই ছবির ব্যবসায়িক সফলতায় বুবলীকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একে একে শাকিবের সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করেন ‘শুটার’, ‘রংবাজ’, ‘অহংকার’, ‘চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’, ‘সুপার হিরো’ এবং ‘ক্যাপ্টেন খান’। শাকিবের মতো জনপ্রিয় একজন নায়কের বিপরীতে একের পর ছবিতে নায়িকার হওয়ার কারণে অনেকের ঈর্ষার কারণও তিনি। তবে এসব মোটেও ভাবায় না বুবলীকে। পরিচালক ও প্রযোজকদের আস্থার প্রতিদান হিসেবে ভালো অভিনয়ের চেষ্টায় নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন।
বুবলী বলেন, ‘শাকিব খানের সঙ্গে জুটি করে ছবি বানানোর বিষয়টি পুরোপুরি পরিচালক ও প্রযোজকদের চিন্তাভাবনার বিষয়। দিন শেষে একটা ছবির পেছনে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়। এখন সেই পরিচালক ও প্রযোজকেরা যখন চান শাকিব ও বুবলী একসঙ্গে কাজ করুক, সেখানে আমাদের কী করার আছে! প্রযোজকেরাও মনে করেন, তাঁরা বিনিয়োগ ফেরত পাচ্ছেন। আর ছবিতে কে বা কারা কাজ করবেন, তা গল্পের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি পরিচালকের পছন্দ এবং প্রযোজকের বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করে।’