বাবা সন্তু মুখার্জি ছোটবেলায় তাঁকে ভেবলী নামে ডাকতেন। আর এই নামে ডাকার কারণ ছিল ছোটবেলায় স্বস্তিকার খুবই সাধারণ এবং মিষ্টি স্বভাব। অবশ্য পরিণত বয়সে পশ্চিম বাংলার চলচ্চিত্র অঙ্গনে ‘ঠোঁট কাটা’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। বহুবার নানা বিতর্কেও জড়িয়েছেন তিনি। এই অভিনেত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকার চলচ্চিত্রে দেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের সিনেমায় প্রথম ২০১০ সালে অভিনয় করেন কলকাতার স্বস্তিকা মুখার্জি। শাকিব খানের সঙ্গে ‘সবার ওপরে প্রেম’ ছবিতে জুটি বাঁধেন স্বস্তিকা। 

দীর্ঘ নয় বছর এই অভিনেত্রীকে ঢাকার কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। নয় বছর পর আবারও বাংলাদেশি সিনেমায় নাম লেখাতে চলেছেন স্বস্তিকা। পরিচালক পারভেজ আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশের সিনেমায় স্বস্তিকার কাজ করা প্রসঙ্গে পারভেজ আমিন বলেন, ‘আমি কলকাতা গিয়েছিলাম। সেখানেই স্বস্তিকার সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করেছি। তিনি ছবিটির ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তিবদ্ধ হওয়াটা বাকি। সব ঠিক থাকলে স্বস্তিকাকে নিয়ে আগামী জানুয়ারি থেকে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।’

এখনো নাম নির্ধারণ না হওয়া চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য করছেন কলকাতার পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার দেবারতি। এটি একটি নারীপ্রধান চলচ্চিত্র হবে। জানা গেছে, শুরুতে পরিচালক বাংলাদেশের চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে নিতে চেয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বেশি সম্মানী চাওয়ায় পরিচালক স্বস্তিকার কথা ভেবেছেন।

স্বস্তিকার বাবা সন্তু ও চাচা সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অভিনেতা হিসেবে কলকাতায় দারুণ পরিচিত। স্বস্তিকাও অভিনেত্রী হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে দিয়েছেন প্রতি পদে৷ ইদানীং অবশ্য মূল ধারার ছবিতে তাঁকে তেমন দেখা যায় না, পরীক্ষামূলক কাজেই স্বস্তিকার আগ্রহ বেশি ১৮ বছর বয়সে সংগীতশিল্পী প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। দুই বছরের মাথায় বিবাহবিচ্ছেদ হয়। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী। এরপর একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

Leave a Response