কিছুদিন আগ পর্যন্তও সংগীতবিশ্বে ছিল পুরুষের জয়জয়কার। দুই বছর আগে গ্র্যামির মঞ্চে তাই বলা হয়েছিল, ‘নারীরা জেগে ওঠ, চিৎকার করে অস্তিত্বের জানান দাও।’ আর ২০২০ সালের গ্র্যামি মনোনয়নে দেখা গেল, নারীরা জেগে উঠেছে, চিৎকার করেছে। সেই চিৎকার সাড়া ফেলেছে চারদিকে। নারীরা এ বছর মনোনয়নের দৌড়ে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে আছে অনেকখানি।
এ বছর মনোনয়ন পাওয়া আটটি অ্যালবামের পাঁচটিই নারীদের। তাঁদের ভেতর আরিয়ানা গ্রান্ডে আর লানা ডেল রে সবার চেয়ে এগিয়ে। সেরা চার ক্যাটাগরি অর্থাৎ, সেরা নতুন শিল্পী, সেরা গান, সেরা রেকর্ড আর সেরা অ্যালবাম—সবগুলোতে নাম আছে লিজ্জো আর বিলি আইলিশের। অবশ্য এর আগে ক্রিস্টোফার ক্রস এই চারটি ক্যাটাগরির সবগুলোতে সেরার পুরস্কার ঘরে তুলেছেন।
স্কটিশ সংগীতশিল্পী ও গীতিকার লুইস কাপালডির নাম ‘সং অব দি ইয়ার’ এর তালিকায় দেখে যে কেউ অবাক হতে পারেন। ২৩ বছর বয়সী এই শিল্পীর এটাই প্রথম গ্র্যামি মনোনয়ন। অন্যদিকে ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী ইয়োলার নাম উঠে এসেছে সেরা নতুন শিল্পীর মনোনয়নের তালিকায়।
২০ বছর বয়সী মার্কিন র্যাপার লিল নাস এক্সের নামও একটা বড় চমক হয়ে এসেছে। ২০১৮ সালে ‘ওল্ড টাউন রোড’ গানটি টিকটক ভিডিওতে শেয়ার করে রাতারাতি তারকা বনে যান এই র্যাপার। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১৯ সপ্তাহ ধরে গানটি টপ চার্টে ছিল। ২০১৯ সালের ১৭ মে গানটির মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর তা দেখা হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ বার।
ব্রিটিশ সংগীতশিল্পীদের মধ্যে গ্র্যামির মনোনয়নের তালিকায় আছে এড শিরান, এলা মাই ও ভায়োলিনিস্ট নিকোলা বেনডেটির নাম। দ্য কেমিক্যাল ব্রাদার্স ‘ড্যান্স’ ক্যাটাগরিতে পেয়েছে তিনটি মনোনয়ন। থম ইয়োর্ক আর জেমস ব্ল্যাক পেয়েছে একটি করে মনোনয়ন।
মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করা হয় গতকাল বুধবার। লিজ্জো একটা টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন তাঁর অনুভূতি, ‘বিশ্ব সংগীতের জন্য দুর্দান্ত একটি বছর গেল। আমি তার একটা অংশ হতে পেরে খুবই ভাগ্যবান আর কৃতজ্ঞ। আমরা সবাই জয়ী।’
২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি এই বছরের বিশ্ব সংগীতের সবচেয়ে বড় দিন। কারণ সেই রাতেই জানা যাবে, কারা হাসলেন শেষ হাসি। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন আরেক মার্কিন শিল্পী অ্যালিসিয়া কাইজ।