ঈদের আগে প্রস্তুত ছিল ৭০টি প্রেক্ষাগৃহ। তবে তখনো চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায়নি ঈদের ছবি ‘বেপরোয়া’। গতকাল সোমবার পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত ছিল, মুক্তি পাচ্ছে না ‘বেপরোয়া’। কারণ রোববার ‘ক্যাপ্টেন খান’ আর ‘মনে রেখ’ ছবি দেখে ছাড়পত্র দিয়েছে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। কথা ছিল সেদিন আর কোনো ছবি দেখবেন না এই বোর্ডের সদস্যরা। এমনকি সোমবারও দেখবেন না। কিন্তু গতকাল সোমবার হঠাৎ ‘বেপরোয়া’ দেখে ছবিটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সব হলের বুকিং প্রত্যাহার করে নিয়েছে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। ঢাকার বাইরে মাত্র একটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে ছবিটি প্রত্যাহার করা হয়নি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা গেছে, চার কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে সেই প্রেক্ষাগৃহে। আর প্রেক্ষাগৃহটির নাম জানাতে চাননি জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।

আবদুল আজিজ বলেন, ‘আমরা চাইলে ছবিটি মুক্তি দিতে পারতাম। কিন্তু অন্য ছবিগুলোর অবস্থা ভালো না। এই অবস্থায় আমরা ছবিটি ছাড়তে চাইনি। এমনিতেই চলচ্চিত্রে আগের মতো প্রযোজক নেই, আমরা চাই প্রযোজক বাঁচুক। “বেপরোয়া” যেদিন মুক্তি পাবে, সেদিনই আমাদের ঈদ হবে।’

আজ বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে রোশান বলেন, ‘আমরা চাইলেই ঈদে বেশ কিছু হলে হয়তো মুক্তি দিতে পারতাম। কেন দিইনি তাহলে! কারণ “বেপরোয়া” দেশীয় ছবি হিসেবে অনেক বড় বাজেটের (চার কোটি প্লাস)। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি, অনেক প্রত্যাশা আমার এই ছবিকে ঘিরে। এর আগে আমি কোনো ছবিতে আমার মতো করে আপনাদের সামনে নিজেকে তুলে ধরতে পারিনি। আমি এবং আমরা চাই ছবিটি অনেকগুলো হলে মুক্তি দিতে। ১৯ আগস্ট ছাড়পত্র পেলে হয়তো ৭০-৮০টি হলে ছবিটি মুক্তি দিতে পারতাম। কিন্তু তা না হওয়ায় আমরা ছবি রিলিজের তারিখ পিছিয়েছি৷’

এর আগে গত সোমবার চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে একটি চিঠি দেন সংগঠনটির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন। ‘বেপরোয়া’ ছবিটিকে অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, যেহেতু ‘বেপরোয়া’ ছবির পরিচালক বাংলাদেশি নন, তিনি বাংলাদেশের নিয়ম উপেক্ষা করে ছবিটি নির্মাণ করেছেন, তাই ছবিটিকে কোনোভাবেই বাংলাদেশি ছবি হিসেবে গণ্য করা যায় না।

Leave a Response