রাজনীতির মাঠে, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২৮ আগস্ট দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের নেত্রী দেড় বছর ধরে কারাগারে, কিন্তু দেড় মিনিটের জন্য আন্দোলন করতে পারেনি। সর্বশেষ আমরা দেখছি রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য চেষ্টা করছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার সরকারের যে ভূমিকা তা বিশ্বজুড়ে প্রসংশিত হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে রোহিঙ্গা রিফিউজি আলিঙ্গন করেছেন, তা সারাবিশ্বে প্রসংশিত। বিশ্বের কোনও দেশে যখনই কোনও রিফিউজি সমস্যা হয়েছে, এভাবে আশ্রয় চেয়েছে, কিন্তু এভাবে আশ্রয় পায়নি। সেজন্য জাতিসংঘসহ সারাবিশ্বে সমাদৃত প্রশংসিত শেখ হাসিনার রোহিঙ্গা নীতি।
১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি জড়িত বলে দাবি করেন কাদের। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাস এলে বেপরোয়া চালকের মতো রাজনীতিতে আপনারা বেপরোয়া হয়ে যান। পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা হয়ে যান। দায় এড়ানো বিভিন্ন বক্তব্য দেন। ইতিহাসের আদালতে জনতার আদালতে প্রমাণ হয়ে গেছে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড আপনারা।’
এত কিছুর পরও আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির সঙ্গে কাজ করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এরপরও শেখ হাসিনা অনেক উদার, গণতন্ত্রের জন্য আমরা কি তিন জোটের রূপরেখা আন্দোলন করিনি? সেই জোটে বিএনপিও ছিল।’
কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। আমাদের পাওনা আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি, পদে-পদে আমাদের বিপদে ফেলতে চেয়েছে। আমেরিকায়-কানাডায় বঙ্গবন্ধুর যে খুনিরা লুকিয়ে রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পাকিস্তানের দুজন আশ্রিত রয়েছে। আমি জানি না, কবে তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ তবে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।