ফরিদপুরে শনিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৩ জন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মধ্যে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদি নামক স্থানে ব্রিজের রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আটজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে।
এরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ও ফারুক হোসেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের পাটগাতিগামী কমফোর্ট লাইনের পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এ সময় বাসটি রাস্তার পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয় যাত্রী মারা যান। আহত হন কমপক্ষে ২০ যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক শওকত আলী জোদ্দার জানান, দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান ও হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কমফোর্ট পরিবহনের বাসটি দ্রুত গতি থাকায় ব্রিজে ওঠার পর একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা স্থানীয় প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে একই সময়ে ফরিদপুর-বরিশাল সড়কের নগরকান্দা উপজেলার তালমার মোড় নামক স্থানে আর কে ট্রাভেলস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মা-ছেলেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন আরও পাঁচজন।
নিহতরা হলেন- নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া গ্রামের রেশমা বেগম (৩০) ও তার ছেলে রাজু (১০)।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন।