গণমাধ্যমে কর্মরতদের সুরক্ষায় ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ চূড়ান্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আইনটি বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। এই আইন পাস হলে নীতিমালাও গঠন করা হবে। আইন পাসের পর হঠাৎ করেই কর্মী ছাঁটাই চলবে না। ছাঁটাই করলেও তাদের সব ধরনের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।’
২৮ আগস্ট দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের আরও কয়েকটি বৈঠকের প্রয়োজন। দ্রুতই আইনটিকে পাসের জন্য সংসদে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে চ্যানেল বেশি হওয়ায় আয় কমে গেছে। এর জন্যই হয়তো কিছু কিছু টিভি চ্যানেলের নিয়মিত বেতনভাতা দিতে সমস্যা হচ্ছে। এর সুরাহা করা হবে। এখন আর দেশের বিজ্ঞাপন বাইরের টিভি চ্যানেলে যায় না। এতে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৩৩টি চ্যানেল অনএয়ারে আছে। আরও চ্যানেল আসছে। এখানে কয়েক হাজার গণমাধ্যমকর্মী কাজ করছে। বর্তমানে চালু চ্যানেলগুলো প্রদর্শনে আগে সিরিয়াল মানা হতো না। সিরিয়াল পেতে ক্যাবল অপারেটরদের কাছে ধরনা দিতে হতো। এখন সে অবস্থা নেই। সিরিয়াল মানার বিষয়ে এখনও যেখানে ত্রুটি আছে, তা সমাধানে মোবাইলকোর্ট পরিচালিত হবে। তবে কোনও ঘোষণা দিয়ে নয়, ঘোষণা ছাড়াই এ কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
বৈঠকে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তথ্যসচিব আব্দুল মালেক অংশ নেন।