ঢাকা: গণফোরাম সভাপতি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তুলে ধরেছি, কূটনীতিকরা শুনেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, মঈন খানের বাসায় চায়ের আড্ডায় এসেছিলাম। বর্তমান রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা কূটনীতিকদের বলেছি, দেশে গণতন্ত্র এখন শূন্যের কোটায়। ভোট ডাকাতির সংসদ গঠনের মধ্যে দিয়ে যতো রকমের অনিয়ম সবই হচ্ছে। একটা লুটপাটের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়াবাড়ি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় একটা দেশ চলতে পারে না। এর থেকে মুক্ত হতে হলে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ গঠিত হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।
আপনাদের কথা শুনে কূটনীতিকরা কী বলেছেন, জানতে চাইলে সুব্রত চৌধুরী বলেন, তারাতো এভাবে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেন না। তারা নোট নেন। তবে দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তারাও সবকিছু দেখছেন।
খালেদা জিয়ার জামিন বার বার আটকে দেওয়ার বিষয়েও তাদের অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে পুনরায় কারাগারে নেওয়ার বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিকদের মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত, কানাডার উপ-রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান সুব্রত।