করোনা ভাইরাসের কারণে জাপানিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এককভাবে নেওয়া সিদ্ধান্তে বিব্রত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে যেকোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন বলে মনে করেন ওই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ৯ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত করোনা ভাইরাস জাতীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি উত্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সম্প্রতি জাপানিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই একটি মৌখিক ঘোষণা দেওয়া হয়। যা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।’
তিনি বলেন. ‘এধরনের ঘোষণার একটি কূটনৈতিক ফলাফল আছে। সেগুলো বিবেচনায় না নিয়েই এককভাবে অন্যরা বিদেশ সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে আমরা বিব্রত হই কারণ বিদেশি কূটনীতিকরা অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না, তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাদেরকে আমাদের জবাব দিতে হয়।’
ওই কর্মকর্তা জানান, সোমবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অন্য যেকোনও দেশের সঙ্গে জড়িত বিষয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো হলেও তাদের নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করা হয়েছে। এটা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলেনি কারণ আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি।’
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ায় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চারটি দেশের অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করার ঘোষণা দেয় সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। দেশগুলো হচ্ছে , দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান ও ইতালি। গত ৪ মার্চ এই ঘোষণা দেয় আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।