দেশের প্রধান ছয়টি স্থলসীমান্ত বন্দর সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর ধরে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসার পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। গতবারের তুলনায় এ বছর প্রতিবেশী এই দুই দেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার গরু-মহিষ কম এসেছে। ১২ আগস্ট পর্যন্ত ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ এসেছে প্রায় দেড় লাখ। দেশে চাহিদা কমে যাওয়ায় ও সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে গরু আসার পরিমাণ কমছে। যশোর ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ছিল একসময় ভারতীয় গরু আসার সবচেয়ে বড় স্থান। এ বছর ওই দুই স্থলসীমান্ত দিয়ে গরু এসেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশি গরুতেই এ বছর ঈদুল আজহার চাহিদা মিটবে। এ বছর কোরবানির জন্য দেশে মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া রয়েছে। এর মধ্যে খামারে হৃষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ ১০ হাজার। গত বছর তা ছিল ২৭ লাখ।
দেশি গরুর চাহিদা বাড়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল
তবে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মনে করেন, এখনই ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, আমদানি বন্ধ হলে হঠাৎ করে গরুর দাম বেড়ে যেতে পারে। গরুর খামার গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগের কারণে ইতিমধ্যে দেশ গরু-ছাগলে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে।