সভায় কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। নির্বাচনের আগে মক ভোটিং হবে। ইভিএম নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়বৃষ্টি হলে সেটি আমরা দেখব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘নির্বাচন এলে উত্তেজনা ও আবেগ তৈরি হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আবেগ যেন যুদ্ধ ও সহিংসতার কারণ না হয়। নির্বাচনে সবাই জয়লাভ করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্র আমাদের (নির্বাচন কমিশন) নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ইভিএমে পেশিশক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা নেই। নির্বাচন আনন্দমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চাই।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় ফুটবল খেলা হয়। সেখানে কি মারদাঙ্গা হয়? অলিম্পিক স্পিরিট নিয়ে খেলা হয়। নির্বাচনে কোনো হেলমেট বাহিনী থাকতে পারে না। নির্বাচনে কোনো কূটকৌশল করবেন না। মনে রাখবেন, ভোট নাগরিকের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ভোটার উপস্থিতি বেশি। এটা ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ ও তার বেশিও হতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এতসংখ্যক ভোটার উপস্থিত থাকেন না। আমাদের দেশের ভোটাররা সচেতন।’
আচরণবিধি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘প্রার্থীদের অবশ্যই আচরণবিধি অনুসরণ করতে হবে। যেসব বিধিমালা, নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো যেন লঙ্ঘন করা না হয়। ইভিএমে পেশিশক্তি দিয়ে কিছু করা যায় না। ভোটকেন্দ্রের বাইরে অহেতুক খারাপ অবস্থা তৈরি করবেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো যেন না হয়। নির্বাচনে জাল ভোট ও সহিংসতা হবে না। যদি কেউ করার অপচেষ্টা করেন, আমরা আইনি ক্ষমতা ব্যবহার করব। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ওপর অন্যায় হলে প্রতিরোধের জন্য সহিংস পদ্ধতিতে নয়, অহিংস পদ্ধতি বেছে নিন।’
বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।