২০১৬ সালের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের বোলিং আক্রমণের প্রশংসা করেছেন দলটির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং নির্ভর দল। দলটির মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ সব সময় বলে থাকেন, ‘ব্যাটসম্যান জেতায় ম্যাচ। বোলার জেতায় শিরোপা।’ ২০১৬ সালে সেই বোলাররাই হায়দরাবাদকে আইপিএল শিরোপা জিতেয়েছিল। সেই বছর হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণের চোখের মণি ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ক্যারিয়ারের শুরুটা স্বপ্নের মতো কাটছিল মোস্তাফিজের। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোয় বড় ভূমিকা ছিল বাঁহাতি পেসারের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম বছরের সাফল্য মোস্তাফিজকে আইপিএলে খেলার সুযোগ করে দেয়।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ২০১৬ সালের আইপিএল খেলেছেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি লিগে প্রথমবার খেলতে নেমেই তাক লাগিয়ে দেন তরুণ মোস্তাফিজ। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদকে আইপিএল শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন। টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতে নেন। হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণের আরেক সদস্য ভুবনেশ্বর কুমার ১৭ ম্যাচ খেলে শিকার করেন ২৩ উইকেট।
সেরা আইপিএল স্মৃতি মনে করতে গিয়ে কাল ২০১৬ সালের হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণের কথা বলেছেন দলের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ফাইনাল ম্যাচে হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। খেলা আবার বেঙ্গালুরুর ছোট মাঠে। বোলারদের জন্য ‘কবর’ খ্যাত এই মাঠ রান তাড়ার জন্য বিখ্যাত। বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি সেই বছর একাই করেন অবিশ্বাস্য ৯৭৩ রান। এবি ডি ভিলিয়ার্স করেন ৬৮৭ রান।
তবু হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার নিজের বোলারদের ওপর পুরো আস্থা রাখেন, ‘ফাইনালে আমরা বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলেছিলাম। ওদের নিজেদের মাঠে খেলা। আমরা জানতাম ওরা খুবই ভালো দল। বিরাট সেই বছর সাড়ে নয় শ’র মতো রান করেছিল। ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স—তাদের দলটা ছিল অসাধারণ। তবে আমরা নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রেখেছি। আমি টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলাম। বেঙ্গালুরুতে রান তাড়া করা সহজ। ওরাও রান তাড়ায় ভালো। তবে আমি আমাদের শক্তিতে আস্থা রেখেছিলাম। আমাদের বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো ছিল। এটাই আমাদের জয়ের সেরা সুযোগ ছিল।’
ফাইনালে আগে ব্যাট করে হায়দরাবাদ করে ২০৮ রান, শেষ পর্যন্ত ৮ রানে ফাইনাল জিতে শিরোপা জয় করে ওয়ার্নার-মোস্তাফিজের দল।