প্রথমে গোল হজম করা, পরে ম্যাচে ফিরে আসা। কিন্তু শেষ দিকে আরেকটা গোল করেও ম্যাচটা জেতা হয়নি বার্সেলোনার। এমন পরিস্থিতিতে গোল করে বছরের পর বছর ধরে অবিশ্বাস্যভাবে বার্সেলোনাকে ম্যাচ জিতিয়েছেন লিওনেল মেসি। কাল তো মেসি ছিলেন না, তাই শেষমেশ ঘুরে দাঁড়িয়েও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
মেসি বার্সেলোনা ছেড়েছেন কিছুদিন হলো। মেসি আর বার্সেলোনার—ব্যাপারটাই এখন ইতিহাসের বিষয়। কাল অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচে মেসিকে যেন আরও বড় করে অনুভব করল।
করেছে নিশ্চয়ই। করেছে দেখেই ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে না থেকেও ছিলেন মেসি। প্রসঙ্গ উঠল মেসির, কথা হলো তাঁকে নিয়ে। নিজেদের ম্যাচের পাশাপাশি মেসির না থাকা নিয়েও কথা বললেন বার্সেলোনার কোচ রোনাল্ড কোমান। মেসির না থাকার কারণে প্রকারান্তরে বার্সেলোনার শক্তি যে কমে গিয়েছে, সেটাও স্বীকার করলেন এই ডাচ্ কোচ।
মেসি না থাকার কারণে অন্য দলগুলো যে এখন বার্সেলোনাকে আগের মতো ভয় পায় না, সরাসরি স্বীকার করেছেন কোমান, ‘আমি সব সময় এক জিনিস নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না, কিন্তু আমরা যখন মেসিকে নিয়ে কথা বলি, এমন একজনকে নিয়ে কথা বলছি, যে কিনা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। প্রতিপক্ষ দলগুলো আমাদের বেশি ভয় পেত, যখন মেসি এখানে ছিল।’বিজ্ঞাপন
মেসি না থাকার কারণে বার্সেলোনারও যে খেলতে সমস্যা হচ্ছে, এটাও বোঝেন কোমান, ‘আমাদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেক সুবিধাজনক ছিল। কোনোভাবে বল মেসির পায়ে পাঠাতে পারলেই আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে ও বল হারাবে না অন্তত। আমাদের খেলা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে মেসি নেই। ব্যাপারটা আমরা জানি, কিন্তু এ নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’
প্রথম থেকেই বার্সেলোনাকে অ্যাথলেটিক বিলবাও চেপে ধরেছিল। সেটা কোমানও বুঝেছেন। ইনাকি উইলিয়ামস, অ্যালেক্স বেরেঙ্গেররা মিলে গোল করার অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কপাল খারাপ, একটার বেশি গোল করা হয়ে ওঠেনি বিলবাওর। বার্সেলোনার এ অবস্থা বিরক্ত করেছে কোমানকেও, ‘দুর্দান্ত এক খেলা ছিল এটা, কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের কাজ কঠিন করে ফেলেছি। ওরা অনেক ভালোভাবে প্রেস করেছে আমাদের, অনেক বেশি প্রেস করেছে। আমাদের বুঝতে হবে আমরা কীভাবে ও কখন পেছন থেকে খেলা গড়ে তুলব। প্রথম থেকে আমরা ঠান্ডা মাথায় খেলতে পারিনি।’
মেসি নেই, তাও দুই ম্যাচ পর লিগ টেবিলের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ৩৮ ম্যাচ পর দলটার অবস্থান একই থাকে কি না, দেখা যাক! মেসিহীন বার্সেলোনার কাছে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় অর্জন।