মেসিরও ভিজেছে। গত বছর আগস্টে বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইনের টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মোছার দৃশ্য বার্সা সমর্থকেরা কোনো দিন ভুলতে পারবেন না। আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে ঝামেলার কারণে বার্সা তাদের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়কে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিতে পারেনি—বিষয়টি সমর্থকদের জন্য মেনে নেওয়া দূরের কথা, ভাবাই তো কঠিন! সেখানে মেসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বার্সায় সোনালি দিন নিয়ে আসা পিকের হৃদয় তো পুড়বেই। মেসির বিদায়ের ক্ষণে তাই পিকেও কেঁদেছেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিলের সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেল ‘দ্য ওভারল্যাপ’-এ কথা বলেছেন পিকে। নেভিল নিজেও ইউনাইটেডে তাঁর সতীর্থ ছিলেন কয়েক মৌসুম। সাবেক এ সতীর্থের কাছে খোলা মনেই সব বলেছেন বার্সার ৩৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার, ‘মেসির বার্সেলোনা ছাড়ায় কেঁদেছি। ওর জন্য কেঁদেছি। বার্সায় ওর যে ক্যারিয়ার, সেখান থেকেই ক্যারিয়ার শেষ করলে অসাধারণ হতো।’
মেসির যে বার্সায় থাকার ইচ্ছা ছিল না, তা নয়। থাকতে চেয়েছিলেন বলেই আর্জেন্টাইন তারকা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু লা লিগার বেঁধে দেওয়া বেতন-কাঠামো নীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে বার্সা তাঁকে চুক্তি নবায়নে অপারগতার কথা জানানোর পর দেরি করেননি মেসি। এর পেছনে বার্সার সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের বিভিন্ন হঠকারী পদক্ষেপের প্রভাবও দেখেন অনেকে।
পিকে বলেছেন, ‘মেসি কেন চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি, তা বুঝি। সাবেক (বার্তোমেউ) সভাপতি যেভাবে ক্লাব চালিয়েছেন, তাতে আর্থিকভাবে ভোগান্তির সময় পার করতে হয়েছে। জীবনে এমন হতেই পারে। দেখা যায়, আপনি কিছু একটা ভেবে রেখেছেন, কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’
বার্সা এবং সমর্থকদের কাছে মেসির অবস্থান কেমন, সেটাও জানিয়েছেন পিকে, ‘বার্সেলোনা এবং তার সমর্থকদের কাছে মেসি ঈশ্বরতুল্য। সে থাকলে দারুণ হতো। আসলে লিওনেল মেসি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। বার্সেলোনারও সেরা খেলোয়াড় ছিল। আমি সব সময়ই বলেছিলাম, মেসি আছে বলেই আমরা শিরোপা জিততে পারব। তবে আমাদের দলটাও কিন্তু ভালো ছিল। একজন খেলোয়াড় একা কখনো শিরোপা জেতাতে পারে না।’
যদিও মাঝে মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পেছনে পিকেরও ভূমিকা ছিল, কাতালান সংবাদমাধ্যমে এমন গুঞ্জনও শোনা গেছে।