টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাদ পুরোনো হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। নারী ক্রিকেটাররা এর আগেই তিনটি বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তবু আইসিসির নিয়মে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ সাতে জায়গা করতে না পারায় এবারও বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। দল অবশ্য ওসব ভাবনা মাথায় না রেখে নিজেদের কাজটাই করছে। টানা দুই জয়ে গ্রুপ এর শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশ।
পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সহজ জয়ই কাম্য ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে কার্টেল ওভার সব হিসাবনিকাশে গোল পাকিয়ে দিচ্ছিল। ১৭ ওভারে নেমে আসা ইনিংসও শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৬.৩ ওভারের সময় বৃষ্টি নামায় বাংলাদেশের ইনিংস শেষ ধরে নেওয়া হয়। ৮ উইকেটে ১০৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। এ স্কোরের জন্যও ফাহিমা খাতুনের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে বাংলাদেশ।
শেষ দুই বলে চার মারা ফাহিমা ১৮ বলের ইনিংসে আরও তিনটি বাউন্ডারি মেরেছেন। তাঁর ১৮ বলে ৩২ রানের ইনিংসটিই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। ফাহিমার এ ইনিংসের আগে বাংলাদেশ দল রীতিমতো ধুঁকছিল। ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৪ রান তোলা বাংলাদেশ ৪৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছিল। ফাহিমার প্রতি আক্রমণেই এক শ পেরিয়ে বাংলাদেশ। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সানজিদার। তাঁর ইনিংসটি ফাহিমার উল্টো ঢঙে গড়া। ৩২ বলে ২ চারে ১৯ রান করেছেন ওপেনার সানজিদা।
তবু ফাহিমা নয়, ম্যাচ সেরা হয়েছেন নাহিদা আকতার। বৃষ্টি আইনে ৮ ওভারে ৫৯ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল পাপুয়া নিউগিনি। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে এমন লক্ষ্য প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছিল তারা। অধিনায়ক সালমার ২ ওভারে ২১ রান তুলেছে নিউগিনি। রিতু মনি ২ উইকেট তুলে বাঁধ না দিলে বিপদেই পড়ত বাংলাদেশ। শেষ ওভার ৭ উইকেট হাতে নিয়ে শুরু করেছিল নিউগিনি। দরকার ছিল মাত্র ১১ রান। কিন্তু প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়ে ১ উইকেট পাওয়া নাহিদা শেষ ওভারে ছিলেন দুর্দান্ত। মাত্র ৪ রান দিয়েছেন, ওভারের শুরুতেই তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ফাহিমার সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়ার পর ১০ রানে ৩ উইকেট। নাহিদাকে সেরা বলা ছাড়া উপায়ও ছিল না।
টান দুই জয়ে ও শ্রেয়তর রানরেটে সেমিফাইনালে ওঠা প্রায় নিশ্চিত বাংলাদেশের। আর সেমিফাইনাল পেরোলেই টানা চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চলে যাবে বাংলাদেশ।