সতীর্থ আরাফাত সানির গায়ে হাত তোলার অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন শাহাদাত হোসেন। এর মধ্যে দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। সঙ্গে জরিমানাও দিতে হবে এই লাখ টাকা। তবে শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন তিনি।
সতীর্থের গায়ে হাত তুলে ৫ বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন শাহাদাত হোসেন। এর মধ্যে ২ বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আছে এক লাখ টাকা জরিমানা।
আজ দুপুরে বিসিবি টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসারের শাস্তির ঘোষণা দেন। টেকনিক্যাল কমিটির শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে শাহাদাতের। ২৬ নভেম্বরের মধ্যে আপিল করতে পারবেন তিনি।
মিনহাজুলের কথায়, ‘ওর ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ২ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওর যদি এর বিরুদ্ধে আপিল করার থাকে, তাহলে সে ২৬ তারিখের মধ্যে করতে পারবে। রিপোর্টে এসেছে, ও লেভেল ৪ অপরাধ করেছে। তারপর টেকনিক্যাল কমিটি সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছিলেন পেসার শাহাদাত হোসেন। এর পরে জাতীয় দলে আর ডাক না পেলেও তাঁকে ভুলে যাওয়ার সুযোগ দেননি। নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়ে বেশ কয়েকবারই আলোচনায় এসেছেন এই পেসার। এর আগেও ফৌজদারি মামলায় জেলে গিয়েছিলেন তিনি। মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নামের এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৫ সালে মামলা হয় জাতীয় দলের এই বোলারের বিপক্ষে। ওই মামলায় প্রায় দুই মাস জেলে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
এবার মাঠে সতীর্থের গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনার জন্ম দিলেন। মিনহাজুলের কথায় বোঝা গেল, শাহাদাতের এবারের শাস্তিতে পেছনের নেতিবাচক ইতিহাসের প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া কঠিন শাস্তির মাধ্যমে ক্রিকেটারদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে টেকনিক্যাল কমিটি, ‘এটা খুব খারাপ জিনিস। একজন ক্রিকেটারের এই ধরনের সমস্যা বারবার হওয়া, খুবই খারাপ। যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই খারাপ। আর বিসিবি এই ব্যাপারে খুবই কঠোর। কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আর ওর ক্ষেত্রে আমরা সব দিক চিন্তা করেই শাস্তি দিয়েছি। এটা সকল ক্রিকেটারদের জন্যই উদাহরণ হিসেবে থাকবে।’