ইডেন গার্ডেন্সে খেলা, রোমাঞ্চের জন্য স্রেফ এটুকুই যথেষ্ট ছিল। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। সঙ্গে গোলাপি বলের রহস্য উন্মোচনের হাতছানি। মাঠে নেমে পড়তে যেন তর সইছে না ক্রিকেটারদের। আল আমিন হোসেন জানালেন, ঐতিহাসিক টেস্টের অংশ হতে মুখিয়ে আছেন দলের সবাই।

ইন্দোর থেকে মঙ্গলবার কলকাতা যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। হোটেল ছাড়ার আগে পেসার আল আমিন জানান, কতটা রোমাঞ্চ নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যুতে যাচ্ছেন তারা।

“আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে আছি। সামনে ঐতিহাসিক টেস্ট, গোলাপি বলে। এখানে ভারতও অপরিচিত, আমরাও অপরিচিত। বলটাও নতুন। সেই হিসেবে মনে হয়, ভালো একটা চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হবে।”

“শেষ তিন চার দিন ধরে আমরা অনুশীলন করছি। কলকাতায় যাওয়ার পরও দুই তিনদিন সুযোগ পাবো। সবকিছু মিলে অতীতে যা ঘটে গেছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে সামনে এগোনো খুব কঠিন। আমরা চিন্তা করছি দলগতভাবে কিভাবে ভালো খেলা যায়, কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। সেই চেষ্টাই থাকবে কলকাতা টেস্টে।”

গোলাপি বলে সুইং অনেক বেশি। পেসাররা পেতে পারেন বাড়তি সুবিধা। ইডেনের উইকেটে স্বাভাবিকের তুলনায় এখনও ঘাস অনেক বেশি। স্রেফ এগুলো হলেই উইকেট মিলবে এমন না, আল আমিন মনে করেন ভালো লাইন, লেংথের কোনো বিকল্প নেই।    

“ভালো জায়গায় বল করতে হবে। হ্যাঁ, একটু ব্যবধান আছে। লাল বলের চেয়ে সিম একটু শক্ত। শাইন করা যায় খুব সহজে। সেক্ষেত্রে সবকিছু মিলিয়ে ভালো হবে মনে হয়। বলটা খুব ভালো। এখন বল ভালো, সবকিছু ভালো, কন্ডিশনও যদি ভালো থাকে আমরা যারা পেসার খেলবো তাদের দায়িত্ব কিন্তু অনেক। কারণ ভালো জায়গায় বল করতে হবে। নাহলে ওদের কিন্তু সমস্যায় ফেলা যাবে না।”

“ওদের সব ব্যাটসম্যানই টপ্ ক্লাস ব্যাটসম্যান। র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে ওদের দুই-তিনজন ব্যাটসম্যান আছে। গোলাপি বলে বোলারদের জন্য তাই একটা পরীক্ষা বলে আমার মনে হয়।”

আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১১তে আছে ভারতের পাঁচ ব্যাটসম্যান।

নতুন বলের চেয়ে পুরানো গোলাপি বলে ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ বেশি দেখছেন আল আমিন।

“সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হবে তখন বলের মুভমেন্ট অনেক বেড়ে যাচ্ছে…আমরা প্র্যাকটিসে এমনই বুঝলাম। ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। এখানে যে দলের বোলাররা ভালো করবে সেই দল এগিয়ে থাকবে এই টেস্টে।”

আপাতত নতুন বলের সুইং বোঝার দিকেই মনোযোগ বাংলাদেশের। কলকাতা গিয়ে পানিতে বল ভিজিয়ে অনুশীলন করতে পারে সফরকারীরা।

“আমরা যারা পেস বোলার আছি এখনো বল ভিজিয়ে অনুশীলন করিনি। নতুন বলে কিভাবে সুইং পাওয়া যায় ও বলটা ব্যবহার করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। হয়তো কলকাতায় গিয়ে যদি টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা থাকে বা আমরাও দেখি সন্ধ্যার পরের অনুশীলন বল ভিজে যায়, তখন আমরা ওভাবে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো।”

আগামী শুক্রবার শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্টের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ ও ভারত।

Leave a Response