রোহিঙ্গা ইস্যুতে উল্টো সুর মিয়ানমারের। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নাকি বাধা সৃষ্টি করছে বাংলাদেশ। এমনিই অভিযোগ তুলেছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।

রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সু চি। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে মিয়ানমার। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব ঢাকার।’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলেন, ‘প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়িত করছে না মিয়ানমার। সু চি-র বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। এমন মন্তব্য বিস্ময়কর এবং খুবই হতাশাজনক।’

এদিকে রাখাইন ফিরে গেলেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রোহিঙ্গারা। সূত্রের খবর, ফেরত নিলেও রোহিঙ্গাদের নির্ধারিত ক্যাম্পে রাখবে বার্মিজ সরকার। সব সময় চলবে সেনার নজরদারি।

কুতুপালং শিবিরের শরণার্থী হামিদা জানান, গত বছর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তিনি। চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তার স্বামীকে। রাখাইনে থাকা আত্মীয়রা নাকি খবর পাঠিয়েছেন ফিরলেও ক্যাম্পেই থাকতে হবে রোহিঙ্গাদের। এমন পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে চাইছেন না অনেক শরণার্থীই।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। সদ্য বার্মিজ সেনার একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা ও দু’টি ইউনিটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে কৌশল পাল্টেছে বার্মিজ সরকার।

উল্লেখ্য, রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে গত বছর থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘ।

Leave a Response