কঠিন সময় পর করছে বিশ্ব। প্রতিদিন হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে। অনেকে সুস্থ হচ্ছেন অনেকেই মারাও যাচ্ছেন। বিশ্বের দেড় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এসব দেখে ঘরে থাকতে পারেননি সুইডেনের রাজকুমারী সোফিয়া। কীভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে এ দুঃসময়ে তিনি দাঁড়াবেন তার চেষ্টা করছিলেন। এরপরই অনলাইনে কোর্স করে দেশকে বাঁচাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন রাজকুমারী।
৩৫ বছরের সোফিয়া তিন দিনের একটি অনলাইন কোর্স করেন। ওই কোর্সে মূলত কীভাবে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে কোভিড ১৯ রোগীদের দেখভাল করবেন তার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এ প্রশিক্ষণের পরই তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্টকহোমের সোফিয়াহেম্মেট হাসপাতালে কাজ শুরু করেন।
এখন পর্যন্ত সুইডেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে।
রাজকুমারী সোফিয়া সরাসরি করোনাভাইরাস রোগীদের সংস্পর্শে আসবেন না। স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগী হিসেবেই তিনি কাজ করবেন। চিকিৎসক এবং নার্সদের ওপর যতটা সম্ভব চাপ কমানো যায় সেটা তিনি দেখবেন।
সব ঠিকঠাক পরিষ্কার হচ্ছে কি না তা নজরদারি করছেন, রান্না করা, চিকিৎসার সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করাসহ ইত্যাদি দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজকুমারী সোফিয়া। মহামারি করোনা নিয়ে খুবই চিন্তিত সোফিয়া। স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত দায়ভার এসে পড়ছে তা বুঝতে পেরেই তিনি তাঁদের সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে রাজকুমারী। ছবি: টুইটার
রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ক্রান্তিকালে রাজকুমারী চেয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে থাকতে। তাই তিনি অনলাইনে এ সংক্রান্ত তিন দিনের একটি কোর্স করেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিনের কাজে তিনি যোগ দিয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তিনি হাসপাতালে আছেন। হাসপাতালের অন্য সহকর্মীদের মতো নীল পোশাক পরে আছেন রাজকুমারী। তবে সামাজিক দূরত্ব মেনেই তোলা হয়েছে ছবি। কাজ করছেন সবকিছু মেনেই। তবে কত দিন রাজকুমারী সোফিয়া এ কাজ করবেন তা জানা যায়নি।
জরুরি অবস্থায় চিকিৎসক, নার্সদের সাহায্য করবার জন্য ৮০ জনকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে স্টকহোমের সোফিয়াহেম্মেট হাসপাতালের পক্ষ থেকে। এঁরা কেউই চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ে আসেননি।
সোফিয়া একসময় নামকরা মডেল ছিলেন। পরবর্তীতে ৪০ বছর বয়সী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তথ্যসূত্র: বিবিসি ও এনডিটিভি