কাশ্মীর সংকটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বর্বরোচিত’ আচরণকে বেশির ভাগ ভারতীয় সমর্থন করে না—টুইটে মন্তব্য করেছেন শহীদ আফ্রিদি
এ মাসের শুরুর দিকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ভারত সরকার। এতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ হয়ে গেছে। এরপর থেকেই অস্থিরতা এবং উত্তেজনা ওই অঞ্চলে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি অচল রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। কাশ্মীরের এ সংকট নিরসনে শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। তিনি কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যকলাপকে ‘বর্বরোচিত’ বলছেন।
কাশ্মীর ইস্যুতে এর আগে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে পাকিস্তান। ভারতের রাষ্ট্রদূতকেও তারা দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ কয়েকজন ক্রিকেটার এর আগে অঞ্চলটির জনসাধারণের প্রতি সহমর্মিতা এবং সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও বলেছেন। আফ্রিদিও এর আগে টুইট করেছিলেন, ‘জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী কাশ্মীরিদের অবশ্যই তাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দিতে হবে।’ আফ্রিদি এবার তাঁর টুইটে কাশ্মীরে সংকট নিরসনে জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকা রাখার দাবি জানালেন। আর সেখানে নরেন্দ্র মোদীর ‘বর্বরোচিত’ আচরণকে বেশির ভাগ ভারতীয় সমর্থন করে না বলেও টুইটে মন্তব্য করেছেন সাবেক এ ক্রিকেটার।
আফ্রিদির টুইট, ‘কাশ্মীরে সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে সহিংসতা ও নির্মমতা থামাতে
জাতিসংঘের কাছে আমরা আরও বেশি প্রত্যাশা করি। বেশির ভাগ ভারতীয় নরেন্দ্র
মোদীর বর্বরোচিত আচরণ সমর্থন করে না। তাঁর দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সেতুবন্ধন
গড়ার সময় এখনই। এই অমানবিকতা চিরতরে বন্ধ করা উচিত।’
পাকিস্তান ক্রিকেট
দলের বর্তমান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ এর আগে কাশ্মীরের জনসাধারণের পাশে
দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। করাচিতে ঈদের নামাজ পড়ার পর সংবাদমাধ্যমকে সরফরাজ
বলেছিলেন, ‘আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সাহায্য এবং বিপদ থেকে রক্ষার জন্য
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি। আমরা সবাই তাদের কষ্ট ও দুর্ভোগের
ভাগীদার।’ শুধু সরফরাজ নন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারও সবশেষ ঈদ-
উল-আজহায় কাশ্মীরের জনসাধারণের উদ্দেশে টুইট করেছিলেন, ‘আমরা তোমাদের পাশে
আছি…ঈদ মোবারক। আমরা তোমাদের স্বাধীনতার প্রার্থনা করি।’