কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে স্থানীয় সময় আজ রোববার সাতজন আফগান মারা গেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তাঁরা সবাই আফগানিস্তান থেকে পালাতে বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমান। হুড়োহুড়িতে তাঁদের মৃত্যু হয়। খবর বিবিসির।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আজ সকাল থেকে বিমানবন্দরের বাইরে নতুন বিধিনিষেধ চালু করেছে তালেবান। বিমানবন্দরের প্রধান ফটকের বাইরে মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ভোর থেকে বিমানবন্দরের বাইরে লম্বা লাইন শুরু হয়ে যায়। দুপুর হতে না হতেই হুড়োহুড়িতে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিমানবন্দরের পরিস্থিতি চরম বিপর্যয়কর হয়ে উঠেছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দেশ ছেড়ে পালাতে কয়েক হাজার আফগান বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় করেছেন। তাঁরা সবাই বিমানবন্দরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ মিত্রশক্তিগুলো তাদের নাগরিক এবং আফগান সহকর্মীদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করছে।
অস্থায়ীভাবে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা। ৯০০ ব্রিটিশ সেনাও সেখানে টহলে রয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
বিমানবন্দরের পরিস্থিতি চরম বিপর্যয়কর হয়ে উঠেছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
এদিকে বিমানবন্দরের বাইরে বেশ কয়েকটি তল্লাশিচৌকি স্থাপন করেছে তালেবান। ভ্রমণের কাগজপত্র ছাড়া আফগানদের বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ন্যাটো ও তালেবান কর্মকর্তারা গত রোববার থেকে বিমানবন্দর এলাকায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গুলিতে ও অনেকে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আজকের সাতজন নিয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৯–এ পৌঁছাল