ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন এনজিও’র তহবিল বরাদ্দ কমিয়ে দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জার বোলসোনারো। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তার সরকারকে লজ্জায় ফেলতে এনজিওর লোকজন আমাজন বনাঞ্চলে ‘আগুন দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ তার।
যদিও বোলসোনারো তার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ’ (ইনপে) জানায়, উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে তারা এ বছর প্রথম আট মাসেই আমাজন বনাঞ্চলে রেকর্ড ৭২ হাজারের বেশি বার আগুন লাগার প্রমাণ পেয়েছেন।
এ সংখ্যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৩ শতাংশ বেশি।
বন উজাড়ের তথ্য নিয়ে বিতর্কের জেরে বোলসোনারো ইনপের শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার এক সপ্তাহের মাথায় আমাজন বনাঞ্চল নিয়ে এউদ্বেগজনক খবর এল।
চিরহরিৎ এ বনের আগুন থেকে আসা ধোঁয়ার কারণে সোমবার সাও পাওলো শহরে দিনের বেলায়ই অন্ধকার নেমে এসেছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
আমাজোনাস ও রোনডোনিয়া রাজ্যের বনাঞ্চলে লাগা আগুনের ধোঁয়া দুই হাজার ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে সাও পাওলোতেএলে সোমবার
বিকাল ৩টার পর থেকে ঘণ্টাখানেকের জন্য শহরটি অন্ধকারে ডুবে ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজন বিপুল পরিমাণ কার্বন জমা রেখে বৈশ্বিক উষ্ণতার গতিকে খানিকটা শ্লথ রেখেছে।
ব্রাজিলের কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট বোলসোনেরো কাঠুরে ও কৃষকদের বনটি উজাড়ে উৎসাহ দিচ্ছেন বলে পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা অভিযোগকরেছেন।
যদিও ব্রাজিলে শুষ্ক মৌসুমে দাবানল স্বাভাবিক ঘটনা।তবে গবাদিপশুর চারণভূমি সৃষ্টি করতে আমাজনের অনেক এলাকায় ইচ্ছা করেও আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
ইনপের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ‘ফেইসবুক লাইভে’ বোলসোনারো বলেন, “যা ঘটছে তার সবকিছুই এনজিও’র লোকেদের আমাজানে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আসার দিকে ইঙ্গিত করছে।”
তার কাছে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কোনো লিখিত পরিকল্পনা হাতে নেই। লিখিত পরিকল্পনা করে এটা করা হয় না।
“অপরাধ ঘটছে। কারণ এইসব লোকজন অর্থের অভাবে পড়েছে।”
কর্তৃপক্ষ আমাজান বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বলেও বুধবারের ওই লাইভে জানান তিনি।