যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি চৌধুরী। ২৫ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে তাকে করা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন।
মাহী বি চৌধুরীকে এদিন সাড়ে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে
জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়।
শেষ হয় বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে।
মাহি বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কিছু
মানুষ আছেন যাদের রাজনীতিতে কিছুই দেওয়ার নেই, তারাই ষড়যন্ত্র করছেন।’
জাতীয় নির্বাচনের আগেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি
বলেন, ‘বিদেশে অর্থপাচারের প্রশ্নই আসে না। বিদেশে আমার কোনও অর্থ থেকে
থাকলে তা অবশ্যই বৈধভাবে আয় করা। আমি মানি-লন্ডারিং করিনি। অবৈধ আয়ে কোনও
সম্পদও গড়িনি।’
মাহী বলেন, দুদক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করেছে। তারা তাকে অভিযুক্ত করেননি।
তার
বিরুদ্ধে একতরফা মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে দাবি করে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম
সদস্য আরও বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় চরিত্রহনন চলছে। গত ২৫ দিন ধৈর্য ধরে সব
শুনছি, দেখছি।’ দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠার জন্য এটা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহী বলেন, ‘দুদক আমাকে ডেকেছে। এতে আমি বিব্রত নই। তারা আমাকে বিব্রত করেননি। তারা আন্তরিক ছিলেন।’
আগামী
২৭ আগস্ট দুদকের তলবের বিষয়ে সংবাদ সম্মলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে জানিয়ে
তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাখ্যা দেন। বলেন, ‘খুঁটিনাটি অনেক
বিষয় জানতে চেয়েছেন তারা। আয়-ব্যয়ের হিসাব, ১০ বছরের ট্যাক্সের নথিপত্র
নিয়ে কথা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। সব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছি।’
তিনি নিজের সবকিছুকে বৈধ দাবি করেন।