সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলার বিচার চলতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।
Related Stories
দুদকের করা ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মওদুদ। হাই কোর্টের পর আপিল বিভাগেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
সেই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্যই আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন এই বিএনপি নেতা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ রোববার তা নাকচ করে আদেশ দেয়।
আপিল বিভাগে নিজের আবেদনের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন সাবেক বিএনপি সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিচারিক আদালতে এ মামলায় কার্যক্রম চলতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।
জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী গুলশান থানায় মওদুদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। পরের বছর ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী।
সেখানে বলা হয়, ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীতে মোট ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন বিগত চার দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী মওদুদ। এছাড়া তার নামে ৭ কোটি ৩৮ হাজার ২৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, যা তার ঘোষিত আয়ের তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
আদালতের স্থগিতাদেশে দীর্ঘ এক দশক আটকে থাকার পর গত বছর ২১ জুন এ মামলায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকজনের সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়েছে।
হাই কোর্টে ট্যাক্স সংক্রান্ত মামলা রয়েছে জানিয়ে সেগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে গত ৪ মার্চ জজ আদালতে আবেদন করেন মওদুদ। জজ আদালত তা নাকচ করলে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন। গত ৮ এপ্রিল আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন। গত ১৪ মে আপিল বিভাগও মওদুদ আহমদের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেয়। ওই আদেশ পুর্নবিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও রোববার খারিজ হয়ে গেল।
সম্পদ বিবরণীতে ব্যায়ের খাত উল্লেখ, মামলার অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ ও আদালত পরিবর্তন ও মামলা স্থগিত চেয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার আবেদন করেছিলেন মওদুদ। তার সেসব আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।