নেপালের ‘তারা এয়ার’-এর ৯৯-এনএইটি বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখান থেকে ১৪ মরদেহ উদ্ধার করেছে নেপালি সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সোমবার সকালে দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মুসতাং জেলায় দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের উদ্ধাকারী দল। দুর্ঘটনার শিকার প্লেনে থাকা কেউই আর বেঁচে নেই বলে কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করেছেন নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়াল। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় হোটেল মালিক ও সমাজকর্মী ইন্দ্র সিং জানান, দুর্ঘটনাস্থলে কেউ আর জীবিত নেই।

রোববার সকালে ৪ ভারতীয়, তিন জাপানি নাগরিকসহ ২২ আরোহীকে নিয়ে তারা এয়ারের ৯৯-এনএইটি বিমানটি নিখোঁজ হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে উড্ডয়নের ১৫মিনিট পর সকাল ৯টা ৫৫মিনিটের দিকে বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানটি মুসতাং জেলার লেতে এলাকার আকাশে ছিল।

উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর নেপালের তারা এয়ারের দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট ৯-এনএইটি যাত্রীবাহী বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে এয়ারলাইনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন। মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা বলেছেন, বিমানটিতে ১৩ জন নেপালি, ৪ জন ভারতীয়, দুই জার্মান এবং নেপালের তিনজন ক্রু ছিলেন।

এসএম

Leave a Response