রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে অস্থিরতা চলছে। যুদ্ধ শুরুর পর একের পর এক দেশ নিজেদের খাদ্য সুরক্ষায় রপ্তানি বন্ধ ও সীমিত করার মতো পদক্ষেপ নেয়। এতে বিশ্ববাজারের পাশাপাশি দেশের বাজারেও পণ্যমূল্যের দাম দফায় দফায় বেড়েছে।
গম ও ডালজাতীয় পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের সব কটির দাম অনেক দিন ধরে বাড়তি, যেটি আগে কখনো দেখা যায়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হলে বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে না। যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি খাতেও আপৎকালীন মজুত বাড়ানো দরকার। একই সঙ্গে দেশে ডলারের দাম স্বাভাবিক রাখা জরুরি।
বাংলাদেশে গমের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হতো রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে আমদানি করে। যুদ্ধ শুরুর পর দেশ দুটি থেকে গম আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভারত থেকে আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকেরা। তা সত্ত্বেও নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যশস্যের আমদানি কমেছে ১৭ শতাংশ। আবার প্রতি কেজিতে খরচ বেড়েছে ছয় টাকার বেশি।
আমদানি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আমদানি কমলেও খুব অস্বস্তিকর পর্যায়ে যায়নি। অস্বস্তিকর পর্যায়ে যাওয়ার আগেই পণ্য আমদানি বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ব্যবসায়ী।