শাহাবুদ্দিন শিহাব বলেন, তাঁরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। হাইকোর্ট মোড় পার হওয়ার সময় ছাত্রলীগের ১০০ থেকে ১৫০ নেতা-কর্মী অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা করেন। ছাত্রলীগের হামলায় তিনি মাথায় আঘাত পান। মাথায় আঘাত পাওয়ার পর তিনি দৌড়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের ভেতরে ঢোকেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, শাহাবুদ্দিনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথার আঘাত গুরুতর।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়।
দোয়েল চত্বর এলাকায় আগে থেকে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের মিছিলটি দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে।
ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছুদূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রদল পিছু হটে।
ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ার আগে দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায়। ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রদলকে পাল্টা ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।