মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০১৮ সালের পর থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে একধরনের মন্দাভাব দেখা যাচ্ছে।
যাঁদের আমরা ধনী বলি, তাঁদের সংখ্যা প্রত্যাশিত হারের তুলনায় বেশি নয়। কিন্তু অতি ধনীর সংখ্যা বেশখানিকটা বেশি। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করলে প্রত্যাশিত হারের প্রায় দেড় গুণ। অন্যভাবে বললে, ভারতের আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি বজায় রেখে দেশে যতজন অতি ধনী থাকা উচিত, অতি ধনীর প্রকৃত সংখ্যা তার তুলনায় বেশি।
গত এক দশকে ধনী তালিকার উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ধনীদের তালিকায় ভারতীয় ও চীনাদের সংখ্যা বৃদ্ধি। ২০১০ সালে ভারতীয়
অতি ধনীর সংখ্যা ছিল ৪৯ জন, তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ২১০ কোটি ডলার। আর এক দশক পরে ২০২০ সালে
ভারতীয় অতি ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১০২ জন, তখন তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩১ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই সময়ে ভারতীয় অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ
এবং তাঁদের মোট সম্পদ বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে ২০১০ সালে চীনা অতি ধনীর সংখ্যা ছিল ৬৪ জন, আর তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। ১০ বছর পর চীনা অতি ধনীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৯ জন এবং তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার।
এদিকে করোনা মহামারিতে অনেক মানুষ দরিদ্র হয়েছেন। কিন্তু এই সময়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পদ আরও বেড়েছে বলে দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। বলা হয়েছে, মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনীর সম্মিলিত সম্পদ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ২১ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষ মারা যাচ্ছেন।
অর্থাৎ অতি ধনীর সংখ্যা ও সম্পদ বৃদ্ধি যে বিশ্বমানবতার জন্য সুখকর সংবাদ নয়, সে বিষয়ে সবাই কমবেশি একমত। এখন বিশ্বমানবতার সংগ্রাম তাই অসাম্যের বিরুদ্ধে।