চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। বিকল্প খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম গত বছরের এ সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই সংঘাত লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হুমকিতে ফেলতে পারে। বিশ্বে অপুষ্টি, ব্যাপকভিত্তিক ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, পৃথিবীতে এখন যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে। কিন্তু এখনই যদি সমস্যার সমাধান করা না হয়, তাহলে আগামী মাসগুলোতে বিশ্বকে খাদ্যসংকটের বড় ধরনের বিপদের মুখোমুখি হতে হবে।
আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি রাশিয়া ও বেলারুশের উৎপাদিত সার যদি বিশ্ববাজারে আবার না আসে, তাহলে খাদ্যসংকটের কোনো কার্যকর সমাধান হবে না।
সমস্যার সমাধানে সব পক্ষের সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আন্তোনিও গুতেরেস।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সরবরাহ সংকটে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে।
চলমান এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। এবার বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সংস্থাটি।