সুগন্ধি সাবানের দামও বেড়েছে, আকারভেদে প্রতিটিতে দুই থেকে চার টাকা। যেমন বাজারে সুপরিচিত একটি ১০০ গ্রাম ওজনের সুগন্ধি সাবানের দাম ছিল ৪০ টাকা, যা নতুন করে ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাবান, শ্যাম্পু ও টুথপেস্টের দাম আরেক দফা বাড়ল

ফাইল ছবি

বাজারের সুপরিচিত একটি ব্র্যান্ডের শ্যাম্পুর ১৮০ মিলিলিটারের বোতলের দাম ছিল ১৮০ টাকা, যা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। দাঁত মাজার টুথপেস্টের দামও বাড়ানো হয়েছে। একটি ব্র্যান্ডের ৪৫ গ্রামের একটি টিউবের দাম ৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে।

ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকার মা জেনারেল স্টোরের মালিক মো. আকরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাবানের দাম এখন নিয়মিত বিরতিতে বাড়ছে। কোনো পণ্যের দামই স্থিতিশীল নেই।তিনি যেখানে মাস চুক্তিতে খাওয়াদাওয়া করেন, সেখানে আগে দুই বেলা খাওয়ার জন্য নিত দুই হাজার টাকা। এখন নেয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘আমরা চলব কীভাবে।’

আপনি যদি কাপড় কাচার জন্য এক কেজি গুঁড়া সাবান, থালাবাসন ধোয়ার জন্য আধা লিটার তরল সাবান, একটি সুগন্ধি সাবান, এক বোতল শ্যাম্পু ও টুথপেস্ট কেনেন, তাহলে ব্যয় হবে ৫৫৭ টাকা, যা ঈদের আগের তুলনায় ৫০ টাকা বেশি। অর্থাৎ এই কয়েকটি পণ্য কেনার পেছনে আপনার আগের বাজেটের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি ব্যয় করতে হবে।

সাবান, শ্যাম্পু ও টুথপেস্টের দাম আরেক দফা বাড়ল

ফাইল ছবি

কোম্পানিগুলো বলছে, দাম বাড়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিত্যব্যবহার্য পণ্য খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান শামীমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, পণ্যের ঘাটতি, জাহাজভাড়া বৃদ্ধি, দেশে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানি খরচ ও উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। এ কারণে মূল্য সমন্বয় ছাড়া আর উপায় ছিল না। তিনি বলেন, ‘খরচ বাড়ার অনুপাতে আমরা যতটা সম্ভব ছাড় দিয়ে এই মূল্য সমন্বয় করেছি।’

দেশে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ, মাছ, ডিম, মাংস, দুধসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সংসারের ব্যয় সামলাতে সীমিত আয়ের মানুষের দিশেহারা অবস্থা। এমন সময় সাবান-টুথপেস্টের দাম বেড়ে যাওয়া তাঁদের আরও চাপে ফেলবে।

রাজধানীর পশ্চিম তেজতুরী বাজারের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজে গতকাল শ্যাম্পু কিনতে যাওয়া মো. নান্নু প্রথম আলোকে বলেন, তিনি যেখানে মাস চুক্তিতে খাওয়াদাওয়া করেন, সেখানে আগে দুই বেলা খাওয়ার জন্য নিত দুই হাজার টাকা। এখন নেয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘আমরা চলব কীভাবে।’

Leave a Response