দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: দোয়ারাবাজার উপজেলার নাইন্দার হাওর সহ আশপাশের কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে ছোট বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
বাঁধে পিআইসি কমিটির লোকজন সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা গণ দিন রাতে বাঁধের কাজের তদারকি করছেন। বাঁশ, জিও ব্যাগ, বস্তা ও পলিথিন দিয়ে বাঁধ টিকানোর আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাউবো, উপজেলা প্রশাসনসহ পিআইসির কমিটির লোকজন। নাইন্দার হাওরের পিআইসির বাঁধগুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এতে দুশ্চিতা বেড়েছে কৃষক সহ গোটা এলাকায়। ভারতের চেরা পুঞ্জি এলাকায় অতি মাত্রায় বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে পাহারী ঢলে হাওর ও সুরমা নদীতে অতিরিক্ত পানি বাড়ায় উপজেলার নাইন্দার হাওরের ১১ নং পিআইসির বাঁধে কয়েকটা অংশে ছোট ছোট ফাটল দেখা দিয়েছে।
উপজেলার মাজেরগাঁও, মুরাদপুর,মংলারগাও গ্রামেরপাশে বন্দেওরী, বাগাম বিল,গাক্টিয়াবিল, লগ্গিমারা বিল, নৈনগাঁও ও ছাতক উপজেলার হাওরের ৯নং পিআইসির আর ৩ টি বাঁধের কালবার্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করছিল। স্থানীয় কৃষক ও পাউবো সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় কালবার্ডের মোখ বন্ধ করা হয়েছে। মাজেরগাঁও গ্রামের কৃষক বাবুল মিয়া বলেন, বাঁধে সময় মত প্রয়োজনীয় বাঁশ ও বস্তা লাগানো হয়নি।
এবারের ফসল পানির নিচে তলিয়েগেলে আর চলারমত কোন উপায় থাকবেনা। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন করেছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবদায়ক প্রকৌশলী প্রবির কুমার গোস্বামী , সুনামগঞ্জ পাউবো ভিবাগ ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদ্দুহা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভির আশরাফী চৌধুরী বাবু, দোয়ারাবাজার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ,সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফয়সাল আহমেদ, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজোলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল খালেক, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, উপ ভিবাগীয় প্রকৌশলী সমশের আলী মন্টু, শাখা কর্মকর্তা আবু সায়েম সাফিউল ইসলাম, সার্ভেয়ার প্রকৌশল সন্তেষ বর্মন।