দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) থেকে /কামাল পারভেজ: দোয়ারাবাজারে বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়া দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশু সহ উভয় পক্ষের আহত ৬ জন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাললাবাজার ইউনিয়নের মৌলারপড় গ্রামে। জানাযায় আব্দুল হামিদ এর পুত্র দেলোয়ার হোসেন তার বাড়ির চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তার মামা আছদ্দর আলী। এবারে দেলোয়ার হোসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১ মার্চ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ফয়সাল আহমেদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করে লাল প্লেগ দিয়ে আসেন এবং রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দেন। এসময় সড়কের পাশ থেকে লেট্রিন সড়িয়ে নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। এর গত দশদিন অতিবাহিত হলেও আছদ্দর আলী রাস্তারপাশ থেকে লেট্রিন সড়িয়ে না নিলে শুক্রবার বিকেলে এনিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন লোকজনের উপর দেশীয় অশ্রসস্ত্র নিয়া হামলা করে।
এসময় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন। আহতরা হলেন মৃত.আব্দুল হামিদের পুত্র মোঃ দেলোয়ার হোসেন(২৮), মিলন মিয়া(২০), দেলোয়ার হোসেন স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২), প্রবাসী আমির হোসেনের স্রী হাজেরা বেগম(২৫) তাদের শিশু পুত্র ইব্রাহিম খলিল (৩)।
অপর পক্ষ আছদ্দর আলীর পুত্র নাছির উদ্দীন (৩৫), কফিল উদ্দীন(৩০)। দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এব্যাপরে দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের চলাচলের রাস্তার পাশে আছদ্দর আলী একটি লেট্রিন দিয়ে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এব্যারে আমি একটি লিখিত পরীক্ষা দায়ের করেছি এসিল্যান্ড স্যারের বরাবরে।
পরে রাস্তা থেকে লেট্রিন সরিয়ে নেয়ার কথা বলে আসেন এসিল্যান্ড স্যার। কিন্তি দশ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রাস্তা থেকে লেট্রিন সরিয়ে নেয়নি তারা, আমি এব্যাপে জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেি তারা সবাই মিলে আমাদের উপর হামলা করে।জানতে চাইলে আছদ্দর আলী বলেন, আমার লেট্রি সরিয়ে নিতে হলে আমাকে আরেকটা লেট্রিন বানিয়ে দিতে হবে। নাহয় আমি লেট্রিন সরিয়ে নেবনা। এব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর বলেন, দেলোয়ার হোসেনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আিনত ব্যাবস্তা নেয়া হবে।