দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে কামাল পারভেজ : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নার গাঁও ইউনিয়নের শ্যামল বাজার-ইদনপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত সড়কে দায়সারা সংষ্কার কাজের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় শ্যামল বাজারের নিকটে ইদনপুর সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পাহাড়ি ঢলে ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কের নোয়াগাঁও খালের ব্রিজ ভাঙনের ফলে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ইদনপুর সড়ক। তিন ইউনিয়নের মানুষ এখন এই রাস্তা দিয়ে জেলা ও উপজেলা সদরে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। কিন্তু ব্লক বেষ্টিত সরু ও ভাংগা সড়ক হওয়া গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা মানুষ চলাচলও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি ওই সড়কের দেড় কিলোমিটারের চেয়ে কিছু কম অংশ সড়কের দুই দিকে আড়াই ফুট করে মাটি ভরাটের জন্য চারলাখ টাকা বরাদ্দ হয়। সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দের পর স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ভূপতি দাস কাজ পান। কাজের শুরুতেই প্রকল্পের নিয়ম উপেক্ষা করে দুইদিকে নামমাত্র মাটি ফেলে দায়সারা কাজ শুরু করেছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক সংষ্কার কাজ সঠিকভাবে করার দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আজর আলী, ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আলী আহমদ, ফজির আলীসহ এলাকাবাসীরা বলেন, ইদনপুর সড়ক দিয়ে তিন ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন। মাটি ভরাটের ৪লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি ভূপতি দাস দায়সারা কাজ করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছেন। তিনি লোকসমাজে প্রচার করেন এই বরাদ্দ না কী সামান্য কাজ করে নিজেরা টাকা ভাগবাটোয়ারা করার জন্য এমপি সাহেব প্রকল্প দিয়েছেন। প্রকল্প সভাপতি ভূপতি দাস বলেন, ৪ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা শুরুতেই কেটে রাখা হয়। বাকী তিন লাখ টাকা দিয়ে কাজ করতে হবে। জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ বলেন, প্রায় দেড় কিলোমিটার ব্লক সড়কের দুইদিকে আড়াই ফুট করে মাটি ভরাটের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরকত আলী, হাফিজ সিরাজুল ইসলাম, এখলাছুর রহমান, আবদুল জলিল, সাদ্দাম হোসেন, বশির উদ্দিন, আইয়ুব আলী, আরশ আলী প্রমুখ