দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ থেকে কামাল পারভেজ :সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সেচের পানিতে তলিয়ে গেছে ২শ’ বিঘা বোরো বীজতলা। দ্রুত পানি সরানো না হলে চলতি বোরো মৌসুমেই কপাল পুড়বে সীমান্ত এলাকার ৫/৬ গ্রামের সহস্রাধিক কৃষকের। প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বামাইরবন হাওরে কৃষকরা এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
সরজমিন গেলে কৃষকরা জানান, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলা নদী থেকে এবং গভীর নলকূপ দিয়ে সেচের মাধ্যমে প্রতিবছরই বামাইরবন হাওরে বোরো ফসল উৎপাদন করা হয়। এবার মৌসুমের শুরুতেই সেচের পানি বিক্রেতারা আধিপত্য বিস্তার এবং পানি দেওয়ার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অধিক পানি উত্তোলন করে ডুবিয়ে দেন বীজতলা। বোরো জমিতে চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়ার পূর্বেই নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য শত শত কৃষকদের বীজতলা সেচের পানিতে ডুবিয়ে দেওয়ার ফলে বোরো চারা বিনষ্ট হয়ে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষকরা আরও বলেন, বাংলাবাজার ইউনিয়নের বামাইরবন গ্রামের মোলায়েম হোসেন মেম্বার ও কুশিউড়া গ্রামের আয়াতুল্লাহ দুইজন হাওরে বোরো ফসল করার জন্য সেচের পানি বিক্রি করেন কৃষকদের কাছে। মৌসুমের শুরুতে দু’জন প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অধিক পানি উত্তোলন করায় কৃষকদের বীজতলা পানিতে তলিয়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরে বীজতলা পানিতে ডুবে থাকায় বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হওয়ার সমূহ শংকা দেখা দিয়েছে। দ্রুত বীজতলা থেকে পানি সরাতে না পারলে বামাইরবন হাওরে এবার বোরো আবাদ করতে পারবেনা কৃষকরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, বীজতলা থেকে দ্রুত পানি সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষক মোফাজ্জল হক, আবদুল আজিজ, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য রায়হানুল ইসলাম রবিন, ফজলুর রহমান, আবদুল কাদির বাচ্ছু, কমুরুল ইসলাম, মাহমুদ আলী, নুর উদ্দিন, সবুজ আলী, আবদুল হান্নান, রশিদ মিয়া, আবদুল মজিদ, আবদুল কাদির, মীর হোসেন, আবদুর রশীদ, রমজান আলী, পলেন মারাক, দরিন্দ্র মারাক, বজলু মিয়া প্রমুখ।