বার্সেলোনার হয়ে নতুন মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন লিওনেল মেসি। পাকাপাকিভাবে তাঁর কাঁধে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে বার্সা, অর্থাৎ নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পরেই তিনি কাল নামছেন শিরোপা অভিযানে। মরক্কোর তাঞ্জিয়ারে স্প্যানিশ সুপার কাপে সেভিয়ার মুখোমুখি হবে বার্সা। এ ম্যাচ দিয়েই নতুন মৌসুম শুরু করবে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল।
স্প্যানিশ সুপার কাপের এ ম্যাচে অনন্য এক রেকর্ড গড়ে নতুন মৌসুম শুরুর সুযোগ পাচ্ছেন মেসি। স্প্যানিশ ফুটবলের বার্ষিক এই টুর্নামেন্ট এবারই প্রথম স্পেনের বাইরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এবারই প্রথমবারের মতো দুই লেগের বদলে এক ম্যাচেই শিরোপা লড়াইয়ের নিষ্পত্তি হবে, অর্থাৎ কাল সেভিয়ার বিপক্ষে জিতলেই বার্সার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়ের কীর্তি গড়বেন মেসি।
সেটি কীভাবে? বার্সার ইতিহাসে বেশির ভাগ রেকর্ডই তো মেসির। তাহলে আর আলাদা করে সফল হওয়ার কী আছে? মজাটা ঠিক এখানেই। শিরোপাসংখ্যায় মেসি কিন্তু এখনো বার্সার ইতিহাসে সবাইকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি; বরং এই রেকর্ডে মেসির সঙ্গে এখনো ভাগ আছে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার। গত মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতেছেন তাঁরা বার্সার হয়ে। কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে সেটি ছিল তাঁদের ৩২তম শিরোপা জয়। এই দুই খেলোয়াড়ই বার্সার হয়ে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিরোপা জিতেছেন।
কিন্তু ইনিয়েস্তা বার্সা ছেড়ে যাওয়ায় মেসির সামনে এখন রেকর্ডটির একক দখল নেওয়ার সুযোগ। সেটি কালই হতে পারে। সুপার কাপ জিতলেই তো বার্সার জার্সিতে মেসির শিরোপাসংখ্যা হবে ৩৩। তখন শিরোপাসংখ্যায় তাঁর পেছনে পড়বেন ক্লাবটির বাকি সব কিংবদন্তি। আর বার্সার আনুষ্ঠানিক অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই শিরোপার সঙ্গে রেকর্ড দিয়ে যাত্রা শুরুর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!
২০০৫ সালে বার্সার মূল দলে সুযোগ পান মেসি। এই ১৩ বছরে ক্লাবটির হয়ে ৯ বার লা লিগা, ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৩ বার ক্লাব বিশ্বকাপ, ৬ বার কোপা ডেল রে, ৩ বার ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও ৭ বার স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছেন মেসি।