করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ চাওয়ার পর এবার বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত সরকার।
কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শনিবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে টুইট করেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ছয়টি দেশ হল ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিসর, লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিপিন্স।
এই সাত দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে কুয়েত। কুয়েতের এই সিদ্ধান্ত জেনেছে বাংলাদেশ বিমানও।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কুয়েত সরকারের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার জন্য বাংলাদেশ থেকে বিমানের কুয়েতগামী ৬ ও ১০ মার্চের দুটো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
কুয়েতি সংবাদপত্র আরব টাইমস জানিয়েছে, কুয়েতে থাকার অনুমতি রয়েছে- এমন কোনো বিদেশি গত ১৪ দিনে এই সাতটি দেশের কোনোটিতে গেলে কুয়েতে ঢোকার অনুমতি পাবেন না। তবে এই সাতটি দেশ থেকে কুয়েতের কোনো নাগরিক দেশে ফিরতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ফেরার পর তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বিশ্বের ৭৫টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় লাখ মানুষ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হওয়ার পর গত মঙ্গলবার কুয়েত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ঢাকায় তাদের দূতাবাস থেকে একটি সনদ নিয়ে তারপর সে দেশে যেতে হবে, যেখানে লেখা থাকবে ওই যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।
৮ মার্চের পর ওই সনদ ছাড়া বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের নাগরিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছিল।
এতে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতগামীরা আটকে পড়লে তাদের পরীক্ষা করে সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় আইইডিসিআর।কিন্তু বৃহস্পতিবার কুয়েতের মন্ত্রিসভা সনদ দাখিলের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে।
তখন বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তারা এখন বাস্তব সমাধানের পথ খুঁজছে, যাতে তাদের নাগরিক ও যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।এরপরই বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল।
কুয়েতে ইতোমধ্যে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে।