অপপ্রচারে কান না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝেই দেখি অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। আমি সবাইকে বলবো এই অপপ্রচারে কান দেবেন না।’ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা এবং ২০১৯/২০ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা/নৌ/বিমান বাহিনী পদক ও অসামান্য সেবা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পেঁয়াজ নাই, লবণ নাই, এটা নাই, সেটা নাই নানান ধরনের কথা প্রচার হয়। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। আমি জানি এটা করবে, এটা স্বাভাবিক। সেটাকে মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বরং উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশ। আমাদের মাছ উৎপাদন বেড়েছে, তরিতরকারি উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য ও পুষ্টির দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি। আমরা প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যথাযথ কাজ হাতে নিয়েছি এবং এটা আমরা অব্যাহত রাখবো।’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা যারা বেঁচে আছেন, আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়ে, নাতিপুতি অথবা এলাকাবাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন। মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন জানতে পারে যে বাঙালি কখনও পরাজিত হতে পারে না। সেই মর্যাদায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা গর্বিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদের গড়ে তুলবো। বিশ্বসভায় সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবো। বিজয়ী জাতি হিসেবে নিজেদের আত্মমর্যাদাবোধ গড়ে উঠবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মাথা উঁচু করে চলতে শিখবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স করে দিচ্ছি। যাতে ওই অঞ্চলে যে যুদ্ধ হয়েছে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো থাকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেসব সম্পর্কে জানতে পারে। একইভাবে গণহত্যার জায়গাগুলো সরকার সংরক্ষণের চেষ্টা করছে।’ চিহ্নিত না হওয়া গণকবরগুলো খুঁজে বের করার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক ও বেসারিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।