নিজস্ব প্রতিবেদক: এ যেনো একটি ব্যাংকের হরিলুটের গল্প।কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেই টাকা উদ্ধারে। গত বছর বেসরকরকারী ব্যাংক প্রিমিয়িার ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ওই শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক এইচএম ওমর খসরু শুধুমাত্র ২০১৮ অর্থ বছরে প্রায় একশ কোটি টাকার মত লোপাট করে আমেরিকায় স্বপরিবারে পালিয়ে যায়। এই টাকা লোপটের দুই বছর পর প্রিমিয়ার ব্যাংক কতৃপক্ষ গুলশান শাখা সহকারী ব্যবস্থাপক এইচএম ওমর খসরু শুধুমাত্র এই টাকা লুটের ঘটনা জানতে পারে।অবাক করা বিষয় হচ্ছে গত আট নয়মাস আগে প্রিমিয়ার ব্যাংক কতৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত হবার পরও এখনো কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি টাকা উদ্ধার বা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনী ব্যবস্থার উদ্যেগ নেয়নি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান গত কয়েক বছর ধরে গুলশান শাখার কর্মকর্তা এইচএম ওমর খসরু এবং আকবর হোসেন মিলে আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকা থেকে শুরু করে ব্যাংকে অলস পড়ে আছে এমন সব একাউন্টের টাকা নামে বেনামে ভাউচার বানিয়ে লুটে নেয়। যা ব্যাংক কতৃপক্ষ বুঝতে পারে ডেপুটি ম্যানেজার এইচএম ওমর খসরু যুক্তরাস্ট্রে পালিয়ে যাবার পর।

এইচএম ওমর খসরু

এভাবে ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে প্রায় একশো কোটি টাকা নিজের পকেটে পুরে নেয় প্রিমিয়ার ব্যাংকের গুলশান শাখার ডেপুটি ম্যানেজার এইএম ওমর খসরু। যার কখনোই কোনো খোজ জানতোনা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কেউ। এক পর্যায়ে গুলশান শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক এইচএম ওমর খসরু প্রায় একশ কোটি টাকা লুটে পরিবার পরিজনসহ যুক্তরাস্ট্রে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে চাকরি ছাড়ার ঘোষনা দেন। চাকরি ছাড়ার ঘোষনার পরপরই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং চেয়ারম্যান বিষয়টি আচ করতে পেরে নিজস্বভাবে তদন্ত করে দেখতে পান প্রায় শতকোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন এই এইচএম ওমর খসরু ।

গত আট নয় মাস বিষয়টি বুঝতে পেরেও এখনো কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনী প্রিমিয়ার ব্যাংক কতৃপক্ষ। এমনকি একটি সাধারন ডয়েরীও করেনী তারা।

লোপাট হয়ে যাওয়া একশো কেটি টাকা কার, ব্যাংকের নিজস্ব, নাকি গ্রাহক বা আমানতকারীদের কিনা সেই বিষয়েটিও পরিস্কার করছেনা প্রিমিয়ার ব্যাংক কতৃপক্ষ। তবে বুধবার বিকেলে দুদকে পালিয়ে যাওয়া ডেপুটি ম্যানেজার এইএচএম ওমর খসরুসহ আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের দায়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে জানান ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তা।

সর্ববামে এইচ এম ওমর খসরু, সর্বডানে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড.এইচবিএম ইকবাল

এইসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল করিম বাংলা নিউজ মেইলকে মোবাইল ফোনে আলাপকালে জানান, টাকা লোপাটের ঘটনা সত্যি। তবে কতটাকা লোপাট হয়েছে এবং কি প্রক্রিয়ায় করেছে এইচএম এমর খসরু সেই ঘটনাটি নিয়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক নিজস্ব তদন্ত কমিটি করেছে। পরবর্তীতে সকল বিষয় তদন্তের উঠে আসবে।

Leave a Response