দেশি-বিদেশি প্রার্থী চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও যোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও পায়নি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অবশেষে এমডি বানাতে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকল্প পথ খোঁজা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি যোগদান করতে পারেন নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেনকে বিমানের এমডি বানানোর সিদ্ধান্ত মোটামুটি চূড়ান্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নতুন এমডি যোগদান করতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে বিমানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডি ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) বানানোর বিষয়টি আলোচনায় আছে। আবার কেউ কেউ বলছেন ক্যাপ্টেন ফারহাত জামিলকে তার আগের পদে (পরিচালক, ফ্লাইট অপারেশন) ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
অনেকেই মনে করছেন, সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমডি পদের জন্য আবেদনকারীর বয়স ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। স্নাতক পাসের সঙ্গে থাকতে হবে অ্যাভিয়েশন খাতে পরিচালক পদে ১০ বছরসহ ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা। শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশি কিংবা বিদেশি এমনকি বিমানের কর্মকর্তাদের যে কেউ এ পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
জানা গেছে, কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তাও এ পদে আবেদন করেছেন।
আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ১৫ এপ্রিল। এদিকে ডিএমডি পদে শুধু বাংলাদেশিরা আবেদন করতে পারবেন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। ফলে অনেকেই আবেদন করেছেন। যদিও তাদের কাউকে যোগ্য বিবেচনা করা হয়নি।
এদিকে বিদায়ী এমডি ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ৩০ মে। পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চুক্তির মেয়াদ শেষের এক মাস বাকি থাকতেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে বিমানের পরিচালক পদ থেকে অবসরে যান মোসাদ্দিক আহমেদ। সে সময় তিনি বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি ও প্রধান নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে বিমানে সহকারী ম্যানেজার পদে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থাটিকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ প্রথম এমডি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিক কেভিন স্টিল। ২০১৪ সালের শুরুতে স্টিল পদত্যাগ করলে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় যুক্তরাজ্যের কেইল হেইউডকে। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে স্টিলের মতোই এক বছরের মাথায় তা ছেড়ে দেন তিনি। বিভিন্ন উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিলেও অভ্যন্তরীণ নানা সিন্ডিকেটের কারণে কেইলও চলে যেতে বাধ্য হন।