ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন প্রসেস না হবে, ততক্ষণ আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় বোর্ডের যৌথসভা হয়েছে। সেখানে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাগ, ক্ষোভ, অসন্তুষ্টির বিষয়ও এসেছে। তবে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে গতকাল কোনও মিটিং হয়নি।’
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত না আসছে, ততক্ষণ উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন তা বলবো না, উনি বলেননি তাও বলবো না।’
গণভবন থেকে আপনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চলে যেতে বলেছেন, বিষয়টি সত্যি কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বহু নেতাকর্মী আসেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমি কেন তাদের চলে যেতে বলবো?’
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে এমন কর্মকাণ্ডে আমি সবসময়ই সন্তুষ্টি প্রকাশ করি। তবে যেসব কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়, সে বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমি তখন তাদের ভালো কাজের শিরোনাম হতে বলি, তাদের সংশোধন হতে বলি। ’
সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রওশন নাকি জি এম কাদেরকে আওামী লীগ স্বাচ্ছন্দ্য মনে করে, এ বিষয় জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা যাকেই লিডার মনোনীত করে পাঠাবে, আমরা তাকেই অভিনন্দন জানাবো। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ও গঠনতন্ত্রের বিষয়। এখানে আমাদের নাক গলোনোর কিছু নেই।’