মাসুদা ভাট্টির করা মানহানির মামলায় ফের কারাগারে যেতে হল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে
মঙ্গলবার মইনুল জামিনের আবেদন নিয়ে বিচারিক আদালতে গেলে ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন সে আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে করা এক মন্তব্যের জন্য গত বছরের ২২ অক্টোবর গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিন মাস কারাগারে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে উদ্যোগী হওয়ার মধ্যে গত বছরের ১৬ অক্টোবর এক টিভি আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েন মইনুল।
ওই ঘটনায় দেশজুড়ে তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের মতো মামলা হয়; ঢাকায় মাসুদা ভাট্টি নিজেই একটি মামলা করেন; তবে তার মধ্যেই মাসুদা ভাট্টিকে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
মানহানির ওই সব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন মইনুল।
মাসুদা ভাট্টির করা মামলাটিতে মইনুল হাই কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর জামিননামা ঢাকার জজ আদালতে দাখিল করেছিলেন। কিন্তু হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ গত ২১ অগাস্ট এক আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে মইনুলকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলে।
সে নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মইনুল।
আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।
জামিনের আবেদন নাকচের বিষয়ে ওই আদালতের পেশকার পুলক দাস সাংবাদিকদের বলেন, “যেহেতু এটি জামিনের নতুন আবেদন, সেহেতু মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় কাস্টডি ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) ইস্যুর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।”