শুভজিৎ রায়ের ‘পথের সাথী’ গল্প অবলম্বনে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্র ‘গণ্ডি’র গল্পে মুগ্ধ সুবর্ণা মুস্তাফা মুক্তির আগেই চেয়ে বসলেন এর সিক্যুয়েল। রবিবার গড়াই ফিল্মস আয়োজিত ‘গণ্ডি’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলী, শুভানুধ্যায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তেমনটাই চাইলেন।
“গল্পটা শোনানোর সময়েই আরেফিন জানিয়েছিল এর সিক্যুয়েল হতে পারে। আমারও দাবি থাকবে, সিক্যুয়েলটা যেন হয়।”
ফাখরুল আরেফিন খানের পরিচালনায় নির্মাণাধীন চলচ্চিত্র ‘গণ্ডি’তে দুই বাংলার অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে ছোট কিংবা বড়পর্দায় কোনো সিক্যুয়েলে কাজ করেননি তিনি।
১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকির পরিচালনায় ‘ঘুড্ডি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় সুবর্ণা মুস্তাফার। মঞ্চ দিয়ে অভিনয় শুরু হলেও ছোটপর্দায় দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। বড়পর্দায় অভিনয় করেছেন সুনির্বাচিত কিছু চলচ্চিত্রে। সর্বশেষ তার মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হল ‘গহীন বালুচর’।
চলচ্চিত্রটিতে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, “গণ্ডি’র ব্যাপারে আমাকে যে বিষয়টা আকর্ষণ করেছে তা হলো স্টোরি। চমৎকার একটি গল্প। সত্যি বলতে আরেফিন (নির্মাতা) যখন পাশে বসে গল্পটা বলেছে তখন গল্পটা এতো সুন্দর করে বলেছে তখন হা করে গল্পটা শুনে এক কথায় রাজি হয়ে যাই।”
এতে সব্যসাচী চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় প্রসঙ্গে সুবর্ণা বলেন, “যখন শুনলাম আমার বিপরীতে সব্যসাচী রাজী হয়েছেন তখন তো মনে হলো সোনায় সোহাগা। খুব সুন্দর সুন্দর সিকোয়েন্স আছে আমাদের। সহ-অভিনেতা যখন সব্যসাচী তখন অভিনয়টা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কক্সবাজারে আমরা খুব আনন্দের সঙ্গেই কাজটা করেছি।”
চলচ্চিত্রটিতে সব্যসাচী ও সুবর্ণা ছাড়াও অভিনয় করছেন অপর্ণা ঘোষ, মাজনুন মিজান, আমান রেজা প্রমুখ।
চলতি বছরের শুরুতে চলচ্চিত্রটির প্রথম পর্যায়ের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে লন্ডন ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। দ্বিতীয় ধাপের শুটিং শুরু হলো সোমবার থেকে। রাজধানীর উত্তরা, বারিধারা, গুলশান ও বনানী এলাকায় টানা বারোদিন চিত্রধারণ করেই থামবে ‘গণ্ডি’দল।