কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ আইনগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্যভান্ডার সেই প্রমাণই বহন করছে। সেখানে তাঁর তথ্য সংরক্ষিত আছে। দেশের নাগরিক হিসেবে ইসি তাঁকে একটি স্মার্টকার্ডও (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়েছিল।
রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ কীভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আজই জেনেছি। আমাদেরও প্রশ্ন একজন রোহিঙ্গা ডাকাত কীভাবে ভোটার হলেন? বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দু-এক দিনের মধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অপরাধীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।’
রোববার ভোরে টেকনাফের জাদিমুরা পাহাড়ি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নুর মোহাম্মদ
নিহত হন। তিনি মিয়ানমারের আকিয়াব এলাকার কালা মিয়ার ছেলে। তিনি
কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছিলেন। বাংলাদেশে
তাঁর চারটি বাড়িও রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর মেয়ের কান ফোঁড়ানোর অনুষ্ঠানে এক
কেজির বেশি স্বর্ণ ও নগদ কয়েক লাখ টাকা উপহার সামগ্রী হিসেবে জমা পড়ে।
ইসি
সচিবালয় সূত্র জানায়, নুর মোহাম্মদের কাছে বাংলাদেশের একটি স্মার্টকার্ড
আছে। কার্ড নম্বর ৬০০৪৫৮৯৯৬৩। এই কার্ডের তথ্য অনুযায়ী তাঁর নাম ‘নুর আলম’।
বাবার নাম কালা মিয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, নুর মোহাম্মদ কীভাবে স্মার্টকার্ড পেয়েছেন, সেটা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। কোন অফিস থেকে এই কার্ড ইস্যু করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে কারা করা জড়িত সেটাও জানা যাবে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট লাকী নামের এক রোহিঙ্গা নারীর ব্যক্তিগত তথ্য ভোটার ভান্ডারে পাওয়া যায়। ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, সেই ঘটনার তদন্ত চলছে।